ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার থেকে শনিবার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। তার সিদ্ধান্তে খুশি নয় বিরোধী দলগুলো। তাদের বক্তব্য ছুটি না দিয়ে ক্লাসের সময় বদলাতে পারতেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ ছুটির কারণে শিশুদের পড়ালেখা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজ্য সরকারের উচিত ছিল বিকল্প পথ খুঁজে বের করা।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মিড ডে মিল চুরি করার জন্য এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সকালের দিকে স্কুল চালু করলে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন বন্ধ হতো না। সরকারের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বিকল্প পথে স্কুল চালু রাখা। শিক্ষার চেয়ে চুরি এই সরকারের কাছে বেশি প্রাধান্য পায়”।
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে গ্রীষ্মের ছুটি সামনে আনা হয়েছে। ২৪ মে এর পরিবর্তে ২ এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পড়বে। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ছুটির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার দিন কমানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,’ছুটি কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। দুপুরের বদলে সকাল বা সন্ধ্যায় স্কুল করা যেতেই পারত। প্রথামিক স্কুলগুলি বন্ধ রাখার কোনও মানে হয় না। বিকল্প পঠনপাঠনে জোর দেওয়া জরুরি। তা না করে মুখ্যমন্ত্রী ছুটি দিয়ে দিলেন।’
আরও পড়ুন : আগামী সপ্তাহ থেকে বাংলার সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ, ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “আসলে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে, তার উপরে আরও এক সপ্তাহ ছুটি বেড়ে গেল। এই ছুটির ফলে পড়াশুনোয় যে ঘাটতি তৈরি হবে তার দায়িত্বে কে নেবে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে শহরে সবুজের সমারোহ ৩০ শতাংশ কমেছে। এমন অবস্থায় গরম বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সরকারের বিকল্প পরিকল্পনা করা উচিত ছিল।”
যদিও এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, ‘‘বিরোধীদের যোগ্যতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাভাবনা ছাড়া এলোমেলো মত প্রকাশ উপযুক্ত সময়ে তাদের উত্তর পাবে।