ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপুরায় তৃনমূলের ওপর অত্যাচার নিয়ে আবারও মুখ খুললেন বাম নেতা মানিক সরকার। তিনি বললেন, “বিজেপি যাঁদের ওপর তালিবানি কায়দায় হামলা চালাবে বলেছে, তাঁরাই নির্ভয়ে রাস্তায় নেমে লড়ছে। তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছি।”
সম্প্রতি অসমের বিজেপি নেতা অরুণ ভৌমিক নিদান দিয়েছিলেন, তৃণমূল নেতারা আগরতলা বিমানবন্দরে নামলেই যেন তাঁদের ওপর তালিবানি কায়দায় হামলা চালান বিজেপি সমর্থকরা। আর সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ালেন মানিক সরকার। তাঁর কথায়, “হাতমুখ ভেঙে দেবেন এই মন্তব্য, হুমকির মধ্যেও যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন তাঁদের আমি কুর্নিশ জানাই। সাহস আছে। মাথানত করছেন না। আর যিনি এই হুমকি দিচ্ছেন সেটা তাঁর দুর্বলতা। ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। জন বিচ্ছিন্নতার ভুগছেন বলে এমন মন্তব্য করছেন।”
উল্লেখ্য, মানিকবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ও তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে সময় সংগঠনের দায়িত্বে থাকা মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সংগঠনের রাশ আগলা হয়ে যায়। সেই সময়ের কথা মনে করে মানিক সরকার আগেই বলছেন, “হয়তো আগেরবার ওরা ভাল ফল করতে পারেনি। কিন্তু তা বলে কখনও বাধাপ্রাপ্ত হয়নি।” সাম্প্রতিক সময় তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদদের উপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনি ‘লজ্জিত’ বলেও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আবার ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলার ঘটনার সমালোচনা করে বিবৃতিও দিয়েছে ত্রিপুরা সিপিএম। এই প্রেক্ষিতে যে প্রশ্ন প্রবলভাবে উঠছে, তা হল ত্রিপুরায় কি বিজেপিকে হঠাতে হাত মেলাবে তৃণমূল-সিপিএম?
আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
এদিকে ব্রাত্য বসু দলীয় বৈঠকে জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের বামেদের থেকে ত্রিপুরার বামেদের চারিত্রিকগত পার্থক্য রয়েছে। ওখানকার বামেরা বুঝতে পারছেন একমাত্র লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই করতে পারে। আমাদের সঙ্গে আসতে চাইলে কেউ আসতেই পারেন। ওখানকার বামেরা অনেক বাস্তব সচেতন। আমরা কোনও জোটের আহবান করি না। বামেদের সঙ্গে আমাদের কোনও জোট হবে না। কিন্তু কোনও বাম নেতা-কর্মী আমাদের সঙ্গে আসতে চান, তাহলে তাঁরা সবসময় স্বাগত।সরাসরি জোটের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও যেভাবে বামেরা একাধিক ইস্যুতে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে সাহস যোগাচ্ছে তাতে নিচু তলায় জোটের আবহ দানা বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে।