ওয়েব ডেস্ক: ওমিক্রন ও করোনার জোড়া ধাক্কায় বেসামাল বিশ্ব। একাধিক দেশে এখনও রেকর্ডহারে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। সেই আবহে আশার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এর ডাঃ মাইকেল রায়ান। মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ভ্যাকসিন ইক্যুইটি নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন টিকা এবং ওষুধের বিশাল বৈষম্য দ্রুত সমাধান করা গেলে এবছরেই অতিমারী শেষ হতে পারে৷
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এপিডেমিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের প্রধান সমীরণের মতে, ‘আমরা যদি কোভিড বিধি সতর্কভাবে মেনে চলি এবং আর করোনার কোনও নতুন প্রজাতি তৈরি না হয় তাহলে মার্চের ১১ তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে করোনা সংক্রমণের ত্রাস। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যদি করোনা নতুন প্রজাতি Omicron ডেল্টার জায়গা নিয়ে নেয়, তবে এবার করোনা সাধারণ অসুখ অর্থাৎ endemic-এ পরিণত হবে। ‘
রায়ান বলেন, “আমাদের যা করতে হবে তা হল আমাদের জনসংখ্যার সর্বাধিক টিকা দিয়ে রোগের প্রকোপ কম মাত্রায় পৌঁছানো, যাতে কাউকে মরতে না হয়।” “ইস্যু হল: এটা মৃত্যু। এটা হাসপাতালে ভর্তি, এটি আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ব্যবস্থার ব্যাঘাত যা ভাইরাস নয় ট্র্যাজেডির কারণ।
এক্ষেত্রে ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে কোভিড-১৯ টিকার ভারসাম্যহীনতাকে একটি বিপর্যয়মূলক নৈতিক ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে ১০ শতাংশের-এরও কম লোক কোভিড ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন হু এর চিকিৎসক।
রক্তশূন্যতা হলে শরীর আগেই সতর্কবার্তা দেয়, লাল রঙের এই ৫টি জিনিস খাওয়া শুরু করুন
বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যেই শিখর ছোঁবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। IIT কানপুরের গবেষক দল জানিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের সংক্রমণ শিখর ছুঁয়েছে। কিন্তু, দেশে সার্বিকভাবে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ পিক স্পর্শ করবে। এমনটাই দাবি ওই গবেষকদের।
আপনি কি ওমিক্রনের খপ্পরে আছেন নাকি? এই দুটি লক্ষণ প্রথমে দেখা দেয়
এদিকে, সোম ও মঙ্গলবার দেশের করোনা পরিসংখ্যানে কিছুটা স্বস্তি হলেও বুধবার ফের বাড়ল কোভিড৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪১ জনের। পরিসংখ্যানের নিরিখে দেশে গতকালের থেকে ৪২ শতাংশ বাড়ল মৃত্যু, যা নিয়ে বাড়ল চিন্তা।