ওয়েব ডেস্ক: মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এলাকায় মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল শতাধিক বন্দুক ও হাজারের বেশি কার্তুজ। এখানে একটি অস্ত্র কারখানারও হদিস মিলেছে। একটা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত এই গোয়ালতোড়ে বুধবার বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের সন্ধান মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, বড়ডাঙা এলাকায় পঞ্চায়েতের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। এদিন সেই কাজের জন্য রাস্তায় কাটা হচ্ছিল। জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় হদিশ মেলে এই অস্ত্র কারখানার। উদ্ধার হওয়া বন্দুকগুলি ১৫ থেকে ২০ বছর পুরনো বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন মাটি খুঁড়তেই প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া কয়েকটি বন্দুক উঠে আসে। যা দেখে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় এলাকাবাসী। ফের মাটি খুঁড়তে আবার উঠে আসে প্যাকেটবন্দি প্রচুর বন্দুক। সঙ্গে প্রচুর কার্তুজও। গ্রামবাসীদের দাবি, কয়েক শো বন্দুক মিলেছে রাস্তার নিচ থেকে। সঙ্গে শ পাঁচেক কার্তুজ। যদিও সবক’টিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গ্রামের রাস্তার নিচে এত গুলি-বারুদ, আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এলো, তা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মালদায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ‘নগদ টাকা-গয়না লুঠ’ পুলিসের! সাসপেন্ড ASI-সহ ৩
এদিকে বড়ডাঙ্গা গ্রামে এহেন কীর্তির খবর পৌঁছে যায় থানায়। কি ঘটেছে, তা জানতে গ্রামে আসে পুলিশ বাহিনী। তাঁরা উদ্ধার হওয়া বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার দীনশ কুমার জানান, “গোয়ালতোড়া থানা এলাকার বড়ডাঙ্গা গ্রামে মাটি কাটার সময় প্লাস্টিকবন্দি পুরনো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ৩৫ টি নষ্ট বন্দুক এবং প্রায় ৪০০-৪৫০ নিষ্ক্রিয় কার্তুজ উদ্ধার করে।”
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে পরিত্যক্ত ব্যাগ উদ্ধার ঘিরে বোমাতঙ্ক
কিছুদিন আগেই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার অন্তর্গত কে সি সেন স্ট্রিটের সামনে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার একটি মুদির দোকানে ঢুকে দীপক দাস নামের ব্যবসায়ীকে গুলি করে তাঁরই এক আত্মীয় রাকেশ দাস। জানা যায়, কোনও বিষয় নিয়ে দু’ জনের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। যার জেরে ওই ঘটনাটি ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত রাকেশ দাস। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।