ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর টাউন থানার নিমপুর রেল কলোনির বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী সুভাষ দাস। পেশায় রেলকর্মী। কয়েক বছর আগে দুর্ঘটনার জেরে তাঁর বাঁ হাতে প্লেট বসানো হয়। সম্প্রতি সেই প্লেট খুলতে গিয়ে এক ভয়ানক ঘটনার ঘটল ওই রেলকর্মীর সঙ্গে।
খড়গপুরের ঢেঁকিয়ার বাসিন্দা তিনি। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সুভাষ-বাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা দেবী দ্বারস্থ হয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমা শাসক থেকে পুলিশের কাছে। এদিকে এই অভিযোগ পেয়েই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
কিন্তু ঠিক কি ঘটেছে?
সুভাষ-বাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা দেবী জানান, ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দুর্ঘটনায় স্বামীর বাম হাত ভেঙে গিয়েছিল। ওই হাতের অপারেশন করেছিলেন অর্থোপেডিক আব্দুল লতিফ। এর পর ২০১৬ সালে রেলওয়ে চাকরিতে যোগ দেন সুভাষ-বাবু। তবে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর তাঁর বাম হাতে বসানো প্লেট বের করার জন্য ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসক জানান অপারেশনের মাধ্যমে প্লেট বের করা হবে। সেই মতো এর একমাস পর মেদিনীপুর শহর লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সুভাষ-বাবু।
‘আমার কর্মদিশা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এবার বাংলাই ‘দুয়ারে সরকারে’ ‘কর্মসংস্থান’
অপারেশন থিয়েটারে ঘটে এক ভয়ানক ঘটনা। অভিযোগ, বাঁ হাতের অপারেশন করাতে গেলে তাঁর ডান হাতে চ্যানেল করেন নার্সিংহোমের কর্মীরা। এরপর ডান হাতে ভুল ইনজেকশন দেওয়া হয়। ১২ ঘণ্টা পর থেকে তাঁর হাতের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে সুভাষ দাসকে কলকাতার SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে গার্ডেন-রিচ রেলের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর তাঁকে হাওড়ার নারায়ণী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সেখানেই তাঁর ডান হাত কেটে বাদ দিতে হয়।
ট্রেনের ইঞ্জিন বিক্রি করে ইঞ্জিনিয়ার, কেলেঙ্কারি দেখে অবাক রেল কর্তারা
রেলকর্মী সুভাষ দাস এবং তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, ইনফেকশনের জেরে ডান হাত কার্যত অচল হয়ে যায়। অপারেশন না করলে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেলকর্মী সুভাষ দাস ও তার স্ত্রী অর্পিতা দাস। নার্সিংহোমের এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করা হয়েছে। চিকিৎসকের গ্রেফতারি এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।