ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল আছে, কিন্তু তাদের শিক্ষা দানের জন্য কোন শিক্ষক নেই। এমনি ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বুনিয়াবসন গ্রামের একটি জুনিয়র হাইস্কুলের। একজন মাত্র অতিথি শিক্ষক ছিলেন। ৩১ মার্চ তারও কাজের মেয়াদ ফুরিয়েছে ।
এই বুনিয়াবসন গ্রামটি আদিবাসী অধ্যুষিত একটি গ্রাম। আদিবাসী জনসমাজের কথা মাথায় রেখেই গ্রামবাসীদের আবেদনের ভিত্তিতে একটি জুনিয়র হাইস্কুলের অনুমোদন দেয় রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। ২০১৪ সালে চালু হয় সেই স্কুল। তবে আজ পর্যন্ত এক জনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে পারেনি রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
এমনি পরিস্থিতি থেকে সুরাহা পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বুনিয়াবসন গ্রামের বাইশ জন বাসিন্দা। মঙ্গলবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ওই স্কুলের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিয়ের বিরোধিতা করল কেন্দ্র
রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম প্রশ্ন করেন, ‘এটা কি করে সম্ভব? শিক্ষক ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান চলবে কি ভাবে?’ সরকারি কৌঁসুলি জানান, শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের। যেহেতু আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে, তাই এখনই সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে দু’সপ্তাহের মধ্যে সাময়িক ভাবে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।