ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে নেতা-কর্মীদের মনোবল এখন প্রায় তলানিতে। করোনা অতিমারির কারনে প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাচ্ছে না। প্রায় কোণঠাসা অবস্থায় সংগঠন ঢেলে সাজানর দিকেই মন দিতে চাইছে CPIM। আগামী পার্টি সম্মেলন থেকেই এই কাজের সূচনা করতে চাইছে তারা।
সিপিএমের সম্মেলন-পর্ব এবং পার্টি কংগ্রেস সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল আগের বছরে। কিন্তু বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভেটের জন্য পার্টি কংগ্রেস পিছিয়ে যায় এক বছর। ভোট মিটে যাওয়ার পরে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে নিচু তলার সম্মেলন-পর্ব শুরু করতে চাইছে CPIM। এই সম্মেলনে বিভিন্ন স্তরে কিভাবে তরুণ ও নতুন মুখদের অগ্রাধিকার দেওয়া যাই তারই একটা খসড়া রূপরেখা তৈরি করেছে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। সাংগঠনিক স্তরে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর কথাও সেখানে বলা হচ্ছে। আগামী ১২ ও ১৩ অগস্ট দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সম্মেলনের নির্ঘণ্ট এবং কমিটি গঠনের রূপরেখার ওই খসড়া নিয়ে আলোচনা হবে বলে সিপিএম সূত্রের খবর।
Pegasus কাণ্ডে NSO গ্রুপের বহু অফিসে তল্লাশি ইজরায়েল সরকারের, আরও চাপে ভারত
এর আগে যাবতীয় বৈঠকই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হয়েছে। সেই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল, মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভেটের ফলাফল ধরে ধরে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে এবার সম্মেলন পর্ব কে কাজে লাগিয়ে সংগঠন কে কিভাবে ঢেলে সাজান যায় সেটাই ভেবে দেখছে দল। আগামী বছর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সম্মেলন সেরে ফেলতে চায় আলিমুদ্দিন। এই সূত্রে আগামী সপ্তাহে ৬ থেকে ৮ অগস্ট দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে পার্টি কংগ্রেসের দিনক্ষণ ঠিক করে সার্বিক ভাবে সম্মেলন-প্রক্রিয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা। তার পরেই রাজ্য কমিটিতে এ রাজ্যে দলের সম্মেলন সংক্রান্ত কর্মসূচি ঠিক করে প্রস্তুতি শুরু হবে।
ত্রিপুরায় আইপ্যাক কর্মীদের আটকে রাখাই প্রতিবাদ জানালেন মানিক সরকার
তবে এরই মধ্যে CPIM এর চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আশঙ্কা। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বা অক্টোবরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন। তেমন হলে পরিস্থিতি বুঝে প্রতিনিধির সংখ্যা কমিয়ে সম্মেলন ছোট করতে হবে। প্রয়োজনে কিছুটা অংশ ভার্চুয়ালও করতে হতে পারে তখন।’’ বামেদের সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কর্মসূচি আগে কখনও অনলাইন হয়নি।
কলকাতা-সহ রাজ্যের ১১৬টি পুরসভার ভোট এখন বাকি রয়েছে। পুরসভার নির্বাচন চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করেছে বামফ্রন্ট।