ওয়েব ডেস্ক: Pegasus কাণ্ডে যেখানে ক্রমশ ভারত সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। বিরোধীদের হই-হট্টগোলে মুলতুবি হচ্ছে সংসদের অধিবেশন। সেই সময় Pegasus স্পাইওয়্যারের নির্মাতা সংস্থা এনএসও গ্রুপের অফিসে হানা দিল ইজরায়েল সরকারের এজেন্সি। মিডিয়া সংস্থাগুলির কনসর্টিয়ামে প্রকাশ্যে এসেছে যে, বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশের সরকার এই স্পাইওয়্যার নজরদারির জন্য ব্যবহার করেছে।
জানা গিয়েছে, বুধবারই NSO গ্রুপের একাধিক অফিসে হানা দিয়েছেন ইজরায়েল সরকারের আধিকারিকরা। এনএসও গ্রুপের এক মুখপাত্র ইজরায়েলি একটি নিউজ ওয়েবসাইটকে জানিয়েছেন, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা তাঁদের অফিসে এসে কর্মীদের জেরা করেন। তিনি বলেছেন, সংস্থা ইজরায়েল সরকারের কাছে কোনও কিছু গোপন করেনি। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা কাজ করছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তদন্তে উঠে আসবে সংস্থার বিরুদ্ধে মিডিয়াগুলিতে যা যা অভিযোগ উঠেছে সব মিথ্যা।
এবার ‘খেলা হবে’, নিয়ে গান লেখার আর্জি জাভেদ আখতারের কাছে
সম্প্রতি, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমগুলির যৌথ তদন্তমূলক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ভারতে ৩০০-র বেশি মোবাইল ফোনে ঢুকিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এমনকি এই তালিকায় রয়েছেন মোদী সরকারের এক মন্ত্রীও। একাধিক বিরোধী নেতা, সাংবিধানিক ব্যক্তিত্ব, কর্তৃপক্ষ, বহু সাংবাদিক এবং শিল্পপতিদেরও ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে।
২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে হতে চলেছে চন্দ্রযান-৩ অভিযান, জানাল ISRO
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবের নম্বরও এই নজরদারির তালিকায় ছিল। বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের পরেও সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং কেন্দ্রের দাবি, এই অভিযোগ উত্তেজনার সৃষ্টির জন্য, দেশের গণতন্ত্রকে কুলসিত করার চক্রান্ত মাত্র। ইস্রায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা অবশ্য সাইবার-নজরদারি প্রযুক্তির রফতানির ক্ষেত্রে নীতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য বেশ কয়েকটি সরকারী সংস্থার সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি নিয়োগ করেছে।