ওয়েব ডেস্ক: পিছিয়ে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণ। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) জানিয়েছে সম্ভবত ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে চন্দ্রযান-৩ লঞ্চ করা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য অপেক্ষা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ এর কাজ চলছে।
মূলত করোনার কারণে দেশের বিভিন্ন অংশে এখনও আংশিক লকডাউন চলছে। আর তার জেরেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বেড়াজালে জড়াতে বাধ্য হয়েছেন সকলেই। তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থেকেই চন্দ্রযান-৩ সংক্রান্ত যেসব কাজ সম্ভব হচ্ছে, সেটা করছেন ইসোরর কর্মী এবং বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-২ এর অসফল অভিযানের পর ২০২১ সালেই চন্দ্রযান-৩ লঞ্চের পরিকল্পনা ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের। কিন্তু এই পরিকল্পনায় বাধ সেধেছে করোনাভাইরাস। ইসরোর এই চন্দ্রাভিযানের পাশাপাশি আরও কিছু অভিযানও থমকে গিয়েছে করোনার কারণে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ISRO প্রধান কে শিবন জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযানের-২ এর মতোই কনফিগারেশন রয়েছে চন্দযান ৩ এও। তবে আগের বারের মতো এক্ষেত্রে চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণের সময় যে অরবিটার লঞ্চ করা হয়েছিল, সেটাই ব্যবহার করা হবে চন্দ্রযান- ৩ অর্থাৎ নতুন অভিযানের ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে কাজকর্ম করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। গত ফেব্রুয়ারিতেই কে শিবন আভাস দিয়েছিলেন যে ২০২২ সালে লঞ্চ হবে চন্দ্রযান-৩। এবার আরও নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের সময়কাল। তবে সূত্রের খবর, ইসরোর তরফে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি। চন্দ্রযান- ৩ উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট সময়কাল নির্বাচন করা হলেই তা প্রকাশ করবে ইসরো।
ফোন চুরি হলে অথবা হারিয়ে গেলে কিভাবে আপনার G-Pay, PayTm, PhonePe অ্যাকাউন্ট ব্লক করবেন যেনে নিন
উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০৮ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল প্রথম চন্দ্রযান। সেবছর চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিল চন্দ্রযান। সেই সঙ্গে আরও অনেক কিছুই আবিষ্কার করেছিল ইসরোর প্রথম চন্দ্রযান। এরপর ২০১৯ সালে পাঠানো হয় চন্দ্রযান- ২। চাঁদের যে অংশ অন্ধকার, এখনও যেখানে গবেষণা শুরু হয়নি, সেই প্রান্তেই অভিযানের জন্য পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান- ২। তবে অবতরণের আগেই ভেঙে যায় চন্দ্রযান- ২। ২২ জুলাই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময় গতির সমস্যায় ল্যান্ডার বিক্রম ভেঙে পড়ে। যদিও অরবিটারটি অক্ষত থাকায় তা এখনও সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে। এই ব্যর্থতার রেশ মুছে ফের নতুন মিশনের লক্ষ্যে এগিয়েছিল ইসরো। এবার ফের নতুন করে আশায় বুক বেঁধে চন্দ্রজয়ের স্বপ্ন দেখছে ইসরো।