কলকাতা। কথাই বলতো চুল না পাকলে বাম দলে জাইগা পাওয়া যাই না। কিন্তু এবার ভটের ময়দানে বাম তরুন বিগ্রেড কে সামনে রেখে একটা নুতুন চমক দেওর চেষ্টা করেছিল। কারোর গলায় রজনীগন্ধা ফুলের মালা, কারোর গাঁদা ফুলের। কোথাও তারা ভোটারের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন। কোথাও আবার হেঁসেলেও ঢুকে পড়েছিলেন বামেদের এই তরুণ ব্রিগেড। একটু অন্যরকমভাবে এবার বামেদের কমবয়সী ব্রিগেডকে দেখা গিয়েছিল ভোট ময়দানে। কিন্তু গণনা শেষে দেখা গেল একেবারে ডাহা ফেল অনেকেই। কিন্তু এরপর তাঁদের ভূমিকা কী হবে? তবে কি তাঁরা ঘরে ঢুকে পড়লেন? না সেই আগের মতই মানুষের বিপদে, আপদে পাওয়া গেল তাঁদেরও।
বালিগঞ্জের বাম প্রার্থী চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের কথাই ধরা যাক। ভোটে হেরেও তিনি মানুষের পাশ থেকে সরেননি। ফের অতিমারিতে বিপন্ন মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে রেড ভলান্টিয়ারদের একজোট করার উদ্যোগ। কামারহাটিতে হেরে যাওয়ার পরেও দিনরাত এক করে সেই কাজই করে যাচ্ছেন সায়নদীপ মিত্র। হাসপাতালের বেড জোগাড় থেকে অক্সিজেনের যোগান নানা খুঁটিনাটি ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন তিনিও।
অপর দুই বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর ও ঐশী ঘোষ এবার আলাদা করে দাগ কেটেছিলেন এবার ভোট প্রচারে। ভোটে হেরেছেন দুজনেই ঠিকই। তবে তারা নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে সঙ্গে নিয়ে আজও রয়েছেন তাঁরা মানুষের পাশেই। কল্যানী বিধানসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সবুজ দাস আজও বিপদের দিনে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। পিপিই কিট পড়ে ছুটে যাচ্ছেন বিপন্ন মানুষের পাশে। কোচবিহার, উত্তরদিনাজপুরেও অতিমারি সক্রিয় রয়েছেন বামেদের যুব সংগঠনের কর্মীরা।
কীভাবে তৈরি হয় করোনা ভ্যাকসিন, জেনে নেওয়া যাক
রাজনৈতিক মহলের মতে, সবুজ সুনামির জেরে ভোট বাজারে সুবিধা করতে পারেননি বামেরা। বিজেপিকে রুখতে প্রচুর মানুষ সরে গিয়েছেন তাঁদের পাশ থেকে এমন কথাও উঠে আসছে আলোচনায়। চুপচাপ ফুলে ছাপ দিয়েছেন অনেকেই। তবুও বিপদের দিনে সেই মানুষের পাশ থেকে সরে আসতে চাইছেন না বামেদের অনেকেই।
