কলকাতা: গত ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার পরেই করোনা মোকাবিলায় জোর কদমে নেমে পড়েছেন তিনি। সম্পূর্ণ লক-ডাউন না করলেও আংশিক লক-ডাউনের পথে হেঁটেছেন রাজ্য। বন্ধ করে দিয়েছেন লোকাল ট্রেন চলাচল। কিন্তু রেল-কর্মীদের জন্য চলছে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন (Special Train)। আর এহেন পরিস্থিতিতে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনের কাছে রাজ্য সরকার আবেদন করেছিল, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য কর্মীরাও যাতে ওই স্পেশাল ট্রেনগুলিতে উঠতে পারে তার অনুমতি দেওয়া হয়। রাজ্যের সেই আবেদনে সায় দিল রেল।
এবার থেকে রেল কর্মীদের জন্য চালু থাকা স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্য কর্মীরাও। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রের সব স্বাস্থ্য কর্মীই উঠতে পারবেন স্পেশাল ট্রেনে। তবে, ট্রেনে ওঠার আগে স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখাতে হবে পরিচয়পত্র। আনতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিপত্রও।
গোটা দেশেই আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, বাদ নেই বাংলাও। সেই কারণেই করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য। এর মধ্যে গণ পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই ৬ মে থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা আপাতত ১৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আর সেই জন্যে স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াতে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই হাওড়া ও শিয়ালদার ডিআরএম-কে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে রেল।
কীভাবে তৈরি হয় করোনা ভ্যাকসিন, জেনে নেওয়া যাক
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্মীদের মান্থলি টিকিট কাটতে হবে। পাশাপাশি নোডাল অফিসারের থেকে আই কার্ডও নিতে হবে। সেই সঙ্গে পরিচয়পত্রও দেখাতে হবে। তবেই তাঁরা স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারবেন। স্পেশাল ট্রেনের টাইমটেবিল জানা যাবে সংশ্লিষ্ট স্টেশনে।