মাইগ্রেনের(Migraine) ব্যথা শুরু হলে, আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার কথা ভুলে যেতে হবে। প্রতি মুহূর্তে আপনার মাথা দপদপ করতে শুরু করে। হাঁটাচলা তো দুরে থাক, এমনকি স্বাভাবিক জীবনযাপনও কঠিন হয়ে পড়ে। নিয়মিত মাথাব্যথা কখনই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো লক্ষণ নয়।
অনেক ক্ষেত্রে, মাইগ্রেন(Migraine) বংশগতও হতে পারে। যদি আপনার পরিবারের কারও এই সমস্যা থাকে, তাহলে আপনারও ঝুঁকি থাকতে পারে। যদি মস্তিষ্কের ‘ট্রাইজেমিনাল নার্ভ’ উদ্দীপিত হয় বা ‘সেরোটোনিন’ নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তাহলে এই ব্যথার তীব্রতা বাড়তে পারে। যদিও মাইগ্রেনের(Migraine) ব্যথা শুরু হওয়ার পরে সহজে কমে না, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ব্যথা এড়ানো যায়। বিশেষ করে কিছু খাবার এড়িয়ে চললে ব্যথার প্রকোপ অনেকাংশে কমানো যায়।
এড়িয়ে চলার খাবার:
চকলেট: চকোলেটে উপস্থিত ক্যাফেইন এবং ট্যানিন মাইগ্রেনের(Migraine) ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যতটা সম্ভব চকোলেটের মতো খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন।
অতিরিক্ত লবণ: লবণে উপস্থিত সোডিয়াম কেবল মাইগ্রেনের কারণই নয়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্লান্তিও সৃষ্টি করতে পারে। সরাসরি লবণ খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনই অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়াও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়াতে পারে।
অ্যালকোহল: গবেষণায় দেখা গেছে যে মাইগ্রেনে আক্রান্ত প্রায় ৩৫% মানুষ অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন। বিশেষ করে রেড ওয়াইন মাইগ্রেনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
চিনি এবং মিষ্টি খাবার: অতিরিক্ত চিনি মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব মিষ্টি, সফট ড্রিঙ্ক বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি জানুন
ক্যাফেইন: অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পান মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই নিয়মিত খুব বেশি কফি পান করা উচিত নয়। একবার মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে, এটি নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকুন এবং আপনার খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিন। সকালে হালকা ব্যায়াম করুন, এটি মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। যদি আপনার ঘন ঘন মাইগ্রেনের সমস্যা বা মাথাব্যথা হয়, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।