ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকার ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলাদের জন্য একটি স্কিম শুরু করে। এবার সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঠিক মতো পৌঁছনোর জন্য কেওয়াইসি- র কাজ ঠিক মতো করার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলল নবান্ন।
বুধবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প আছে। প্রকল্প অনুযায়ী ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সেই টাকাই যাতে ২০ এপ্রিলের মধ্যে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়, তার দিকেই বিশেষ জোর দিচ্ছে নবান্ন।
তার মধ্যে ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদন করার দিন ধার্য করা হয়েছিল। ১০ তারিখ ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। এবার শুরু পরিষেবা প্রদানের কাজ। আর সেই কাজেরই মধ্যে ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের কাজের দিন বেঁধে দিল নবান্ন। বাকি পরিষেবাগুলি এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করার নির্দেশ।
আরও পড়ুন : কমিশনের সিদ্ধান্তে বাংলায় রাজ্য দলের তকমাও হারাল সিপিআই
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্ষেত্রে অনেক জায়গাতেই কেওয়াইসি – র সমস্যা রয়েছে। যার ফলে আবেদন করেও অনেকের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ঢুকছে না। সেই কাজগুলি দ্রুত গতিতে শেষ করতে বলা হয়েছে। যাতে আবেদনকারী সকলের অ্যাকাউন্ট এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকে যায়।
গত ৩১ মার্চ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। সেখানে বলাহয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে এ বার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করা থাকবে, সেই সব অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকবে। যাদের ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার লিঙ্ক করা না থাকবে তাদের দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। যাদের লিঙ্ক থাকবে না তারা উক্ত সুবিধা পাবে না।