ওয়েব ডেস্ক: ১৫ জুলাই অবধি বাড়ল রাজ্যের কড়া বিধিনিষেধের মেয়াদ। তবে ১ জুলাই থেকে চলবে সরকারি-বেসরকারি বাস। ছাড় পেল অটো-টোটা-সহ অন্যান্য সড়ক পরিবহণ। তবে বন্ধ থাকছে ট্রেন, মেট্রো। সোমবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও কিছু ছাড় দেওয়া হল। এর পাশাপাশি কোভিডবিধি মেনে খুলে যাচ্ছে বিউটি পার্লার, স্যালো ও জিম।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান,’কোভিড অতিমারীর জন্য বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই বাড়ানো হচ্ছে। কিছুটা হালকা করে দিলে কি হয়, সেটা দেখছি। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা আপৎকালীন কাজই করা যাবে। সরকারি ও বেসরকারি বাসের অনুমতি দিচ্ছি। আন্তঃরাজ্য বাসও চলবে। এর পাশাপাশি অটো, টোটোও চালাতেও অনুমোদন দিচ্ছি। ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। যানবাহনে নিয়মিত স্যানিটাইজেশন ও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। চালকদের টিকাকরণের কাজও চলছে।’
এর সঙ্গে খুলে যাচ্ছে স্যালো, বিউটি পার্লার ও জিম। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কর্মী ও গ্রাহক নিয়ে খোলা যাবে স্যালো ও বিউটি পার্লার। তবে কর্মী, গ্রাহকদের টিকা আবশ্যক। সকাল ৬টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৪ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে জিম। ৫০ শতাংশ লোক থাকতে পারবে। বাধ্যতামূলক মাস্ক, স্যানিটাইজেশন।
অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, জেনেনিন প্রোটিনের সঠিক মাত্রা
সবজি বাজার সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ১ ঘণ্টা করে মোট দু’ঘণ্টা সময় বাড়ল। বাদ বাকি সব দোকান ১১থেকে ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বেসরকারি সংস্থাগুলি ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অফিস খুলতে পারবে। কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। এটা সরকার করবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বিধিনিষেধ থাকলেও অনেকেই মানছেন না দেখছি। শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাতে তৃতীয় ঢেউ ক্ষতি না করতে পারে।
ভুয়ো ভ্যাকসিন ইস্যুতে এবার পথে বামেরা, কর্পোরেশনের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ মীনাক্ষীর
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণার সময় ট্রেন চলাচল নিয়ে কিছু উল্লেখ না করলেও তাঁকে সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘আমরা কি ট্রেন নিয়ে কিছু উল্লেখ করলাম?’ তারপরে নিজেই উত্তরের সুরে জানিয়ে দেন, ‘সব একসঙ্গে খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। বিধিনিষেধ শক্তভাবে আরোপ করার ফলেই রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত।’ কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ট্রেন পরিষেবা চালু হলে সেক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণ একলাফে ফের বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই তা করা সম্ভব নয়। অবশ্য আগামী ১৫ জুলাইয়ের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।