ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি কার্যকর করা হবে তৃনমূলে। সাথে তৃণমূলে বড়সড় রদবদল হতে পারে বলেও সম্ভাবনা ছিল। অবশেষে আজ সোমবার তা হল। এক নেতা এক পদ নীতিতেই এগোল তৃণমূল। এমনকি সংগঠনে ঝাঁকুনি দিতে এবং যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে দিতে বহু জেলার সভাপতি পরিবর্তন করে দিল এ রাজ্যের শাসক দল। যার ফলে সাংগঠনিক ক্ষমতা থেকে বাদ পড়লেন মৌসম বেনজির নুর, মহুয়া মৈত্ররা। আরও উল্লেখযোগ্য ভাবে আজকের সিদ্ধান্তের পর তৃণমূলের আর কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে নেই ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস।
যে সব জেলা সভাপতি এবার মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নতুন মুখদের জায়গা দেওয়া হল। এক একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলাকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল। রাজ্য সহ সভাপতি করা হল ২ জনকে। রাজ্য সহ সম্পাদক করা হল ৮ জনকে। রাজ্য কমিটিতে ১০ জনকে স্পেশাল নিয়োগ দেওয়া হল।
উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার সভাপতি বদল করলেন তৃণমূল নেত্রী। মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি ও চেয়ারম্যান বদল করা। সরানো হলো মৌসম বেনজির নূর এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। মালদহ তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি হলেন আবদুল রহিম বক্সী। একইভাবে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে এলেন মাথাভাঙ্গার গিরীন্দ্র নাথ বর্মণ। দায়িত্ব থেকে সরানো হল পার্থপ্রতিম রায়কে। দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে উদয়ন গুহ। পার্থপ্রতিম রায়কে এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দিলেন অসমের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব
হুগলী জেলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হল। একটি শ্রীরামপুর, অপরটি আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা। হুগলী জেলার দায়িত্ব থেকে সরানো হল দিলীপ যাদব ও তপন দাশগুপ্তকে। অপরদিকে, দার্জিলিং পাহাড়ের সভাপতি করা হল শান্তা ছেত্রীকে। চেয়ারম্যান আই বি রাই। দার্জিলিং সমতলের সভাপতি করা হল পাপিয়া ঘোষকে। চেয়ারম্যান করা হয়েছে অলোক চক্রবর্তীকে।
উত্তরবঙ্গের আরেক জেলা জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি হলেন মহুয়া গোপ। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলেন মহুয়া গোপ। কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর জায়গায় মহুয়া গোপকে জেলা সভাপতি করা হল। মহুয়া গোপের জায়গায় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি হলেন নূর জাহান বেগম।
কাবুল দখলের পর ভারত সরকার কে বন্ধুত্বের বার্তা তালিবানের
একই রকম ভাবে নদীয়া জেলার সাংগঠনিক বিন্যাসকে, নদীয়া উত্তর (কৃষ্ণনগর) ও নদীয়া দক্ষিণ (রানাঘাট) দুটি পৃথক সাংগঠনিক জেলা গঠন হল। নদীয়া উত্তর (কৃষ্ণনগর) -এর সভাপতি করা হয়েছে জয়ন্ত সাহাকে, চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ। অপরদিকে, নদীয়া দক্ষিণ (রানাঘাট) -এর সভাপতি রত্না ঘোষ কর ও চেয়ারম্যান প্রমথ রঞ্জন বোস।
অপরদিকে, উত্তর কলকাতার নয়া সভাপতি হলেন তাপস রায়। সভাপতি পদ থেকে সরে চেয়ারম্যান হলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা কে সরিয়ে, বাঁকুড়া জেলাকে সাংগঠনিক ভাবে দুটি জেলা জেলায় ভাগ করা হল। বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র, চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা। আবার বিষ্ণুপুরের জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান বাসুদেব দিগর। পূর্ব বর্ধমান জেলার নব নির্বাচিত সভাপতি হলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। স্বপন দেবনাথকে সরিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জেলা সভাপতি করা হয়। এক ব্যক্তি এক পদ দলের নীতির কারণে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরে যেতে হল।