ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির আইটি সেলের মোকাবিলায় চলছে এই প্রস্তুতি। জেলা ভিত্তিক তৈরি করা হচ্ছে টিম। দল থেকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাদের। ২০২৪ এর আগে রাজনৈতিক লড়াইয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর দিচ্ছে ঘাস ফুল শিবির। গানটি গেয়েছেন কেশব দে। সুরও দিয়েছিল তিনি। আর গানের কথা লিখেছেন বাদল পাল। কিন্তু হঠাৎ ভোটের মাস দুয়েক পর কেন এমন গান বাঁধল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। যেখানে অভিষেককে ‘বাংলার যুবরাজ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। গানের ছত্রে ছত্রে তুলে ধরা হয়েছে তাঁর লড়াইকে। বাংলার মানুষ তাঁর উপর কতটা আস্থা রাখে, তাও প্রকাশ করা হয়েছে গানের কথায়। লেখা হয়েছে, “গরিবের ভগবান, নারীদের সম্মান তোমার সাথে জড়িয়ে/বিপদের দিনে পেয়েছি তোমায় পাশে, দিয়েছ দুহাত বাড়িয়ে।” তাঁকে ‘সবুজ সেনাপতি’ বলেও সম্মান জানানো হয়েছে।
৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো অ্যালবামে দেখানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনসভার ছবি। উল্লেখ হয়েছে বিভিন্ন সময়ে কখনও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরে, কখনও আবার বজ্রপাতের ঘটনার জেরে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের বাড়ি যাওয়ার ভিডিয়োও।
একুশের লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিয়েছিল দেবাংশু ভট্টাচার্যের খেলা হবে গান। গোটা রাজ্যে ভোটের স্লোগান হয়ে দাঁড়ায় খেলা হবে স্লোগান। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী, সকলের মুখেই শোনা গিয়েছ এই স্লোগান। এখন তো কার্যত গোটা দেশে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। এবার সেই একইরকম গানে গানে অভিষেকের লড়াইকে তুলে ধরল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
অপারেশন “ভুয়ো টিকাকরণ” এর সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল জানালেন ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জনপ্রিয় এই গান। ফেসবুক, ট্যুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবে এই গান এখন হিট। বিশ্লেষকরা বলছেন, লক্ষ্য ২০২৪। আর তাকে সামনে রেখেই নরেন্দ্র মোদী বিরোধী হাওয়াকে পালে টেনেই সারা ভারতে বিস্তারলাভ করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর পূর্বাঞ্চল-সহ এর আগেও বাংলার বাইরে নানা রাজ্যে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।
গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য লেখেন, “আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন দুজন। একজন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, আরেকজন ছাত্রযুবর কাছে জনপ্রিয় যুবনেতা অভিষেক ব্যানার্জী। ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ, অভিষেক ব্যানার্জীর পরিবারকে অবধি অনৈতিক নিশানা, প্রতিটি ভাষণে একজন যুবনেতাকে নিয়ম করে হুমকি দেওয়া, সবই ব্যর্থ করেছেন বাংলার সাড়ে আট কোটি জনতা জনার্দন। অভিষেক ব্যানার্জী প্রমাণ করেছেন, বাংলার রক্তে আজও মিশে আছে সুভাষের তরুণের স্বপ্ন। আজও বাংলার যুবসমাজ স্বামীজীর পথেই হাঁটে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “৮০ বছর পর, বাংলার পলিমাটি থেকে আবার আমাদের তরুণ দাদা আওয়াজ তুলেছেন – “দিল্লী চলো”। আমাদের প্রিয় দাদার দেখানো পথই আমাদের আগামীর মাইলস্টোন। ওরা যতোই কুৎসা করুক, অভিষেক ব্যানার্জী ছাত্র-যুবকে উদ্বুদ্ধ করেছে করছে এবং করবে।” আর তাই অভিষেককে সম্মান জানাতে এবার গান বাঁধল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
আপনার কি চুল ঝরে মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে! যেনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা
বাংলার বিধানসভা ভোটের ফল দেখে ভিন রাজ্যের অবিজেপি শিবিরে একটা কথা ইদানীং শোনা যাচ্ছে- মোদী শাহকে যে রুখে দেওয়া যেতে পারে, তা করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের গুরুত্ব বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘ব্র্যান্ড মমতা’য় শান দিয়ে এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে চাইছেন অভিষেক। আর অভিষেককে সামনে রেখে এগিয়ে চলতে চাইছেন ছাত্রসমাজ।
