ওয়েব ডেস্ক: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছিল গোটা দেশকে। চারিদিকে মৃত্যু মিছিল। হাসপাতালে বেডের অমিল। তবে এখন ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা অনেকটা কম হওয়ায় কোভিডের চিত্রটা ততটাও ভয়ংকর নয়। তা সত্ত্বেও একদল চিকিৎসক জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভুলই পুনরাবৃত্তি করছে ভারত। সতর্কবার্তা দিয়ে একটি চিঠিও লিখেছেন ৩৫ জন চিকিৎসকের একটি দল।
এবার দেশের ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খোলা চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। তাঁদের বক্তব্য, অযথা টেস্ট করা হচ্ছে রাজ্যগুলিতে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া হচ্ছে এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। কোভিডের বর্তমান ঢেউ নিয়ে এভাবেই প্যানিক তৈরি করা হচ্ছে বলে মত তাঁদের। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃতীয় ঢেউ দেশে ঠেকানো সম্ভব ছিল না। তবে তার মোকাবিলার জন্যও দেশ প্রস্তুত ছিল। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করার সময়ও মিলেছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ২০২১-এর দ্বিতীয় ওয়েভের ভুলগুলির পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।’
চিঠিতে মূলত তিনটি ভুলের কথা বলা হয়েছে
- প্রথমত, কোনও প্রয়োজন ছাড়াও যে কোনও ধরণের ওষুধ খেয়ে ফেলা।
- দ্বিতীয়ত, অযথা টেস্ট করা।
- তৃতীয়ত, কম গুরুতর রোগীদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা।
বিধিনিষেধ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, বিয়ে বাড়ি, মেলায় কিছুটা ছাড়!
দেশে অধিকাংশ করোনায় আক্রান্ত রোগীই এখন উপসর্গ হীন কিংবা মৃদু উপসর্গ যুক্ত। তাঁদের ওষুধের কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু, গত দু’সপ্তাহে এই ধরণের রোগীদেরই মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশনে একগাদা ওষুধ দেওয়া হয়েছে। যার কোনও প্রয়োজনীয়তাই ছিল না। ভিটামিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ডক্সিসাইক্লিন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির, আইভারমেকটিনের মতো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এগুলি উপসর্গ-হীনদের দেওয়া অযৌক্তিক। এর জেরে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। ফের একবার হানা দিতে পারে মিউকরমাইকোসিস কিংবা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। বদলে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহারের উপরই জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।