ওয়েব ডেস্ক: কিছুদিন থেকেই জল্পনা চলছিল অবশেষে সেটাই সত্যি হল। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে হঠাৎই ইস্তফা দিলেন অমরিন্দর সিংহ। নভজ্যোৎ সিং সিধুর শিবিরের সঙ্গে দীর্ঘ টালবাহানার মধ্যেই অমরিন্দর সিং রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের হাতে তাঁর ইস্তফা পত্র তুলে দেন। অমরিন্দর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, পদ ছাড়তে হলে দল ছেড়ে দেবেন। এখন তিনি কি সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।
ইস্তফা পত্র দিয়ে বেরিয়ে আসার পর পরের সাংবাদিকদের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৫২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। পাশাপাশি সাড়ে ৯ বছর মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছি। আপাতত আমার অনুরাগী ও সমর্থকদেরই দ্বারস্থ হব পরের কর্মসূচি ঠিক করতে। তারা যা বলবেন, সেই অনুযায়ী পরের ভাবনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। আমি সনিয়া গান্ধীকে সকালেই জানিয়ে দিয়েছি যে আমি ইস্তফা দিতে চাই। এই নিয়ে তৃতীয়বার এখানে পরিষদীয় দলের বৈঠক হচ্ছে। ওঁরা পছন্দমত লোককে মুখ্যমন্ত্রী বানাক’।
মোদী বিরোধী জোটে রাহুল নন মমতাই হবে প্রধান মুখ, ‘জাগো বাংলা’য় স্পষ্ট বার্তা তৃণমূলের
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই অমরিন্দর সিংহের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর কাছে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ৬০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। অমরিন্দরকে না সরালে কংগ্রেস ছেড়ে আপে যোগদানের হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে, একদিকে যখন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিলেন অমরিন্দর সিংহ, তখন পাঞ্জাব কংগ্রেস ভবনে পৌঁছলেন নভজোৎ সিংহ সিধু। জানা যাচ্ছে,কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেবেন নভজোৎ সিংহ সিধু। আগামী বছরের মে মাসে পঞ্জাবের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এভাবে কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় হাত শিবির।