ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের নানান প্রান্তে এক অজানা জরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এইবার সেই সংক্রান্ত একটা গাইড লাইন প্রকাশ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, শিশুদের জ্বর-শ্বাসকষ্ট তিনদিনের বেশি থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের নীচে নেমে গেলেও হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়েছে। আক্রান্ত শিশুদের আলাদা রেখে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, অসুস্থ শিশুদের থেকে প্রবীণদের আলাদা রাখতে হবে। শিশুদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করালে মাস্ক পরে থাকতে হবে। অসুস্থ শিশুদের নিয়ে ভিড়ের মধ্যে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পেডিয়াট্রিক বিভাগের ছবিটা। মোট বেড রয়েছে ১২০টি। সবকটিই এই মুহূর্তে ভর্তি। ফলে এক বেডে ২ জন শিশুকে রাখার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন ওয়ার্ড খোলার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের ২১টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে, ৪৩৫টি PICU বা Pediatric intensive care unit খোলা হচ্ছে।কয়েকদিন আগেই, ২৪৪টি নতুন Pediatric intensive care unit খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর।অর্থাৎ, সব মিলিয়ে, নতুন ৬৭৯টি পিকু চালু হচ্ছে।
লক্ষ্মী ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা আসার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০০০! চাঞ্চল্য মহিষাদলে
এছাড়া SSKM হাসপাতালে ৮০টি ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ১০টি NICU বা Neonatal intensive care unit চালুর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।হাসপাতালগুলিতে যত দ্রুত সম্ভব নতুন ইউনিট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন তৈরি হওয়া PICU ও NICU, হাসপাতালের পুরনো ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত করতে বলা হয়েছে।স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এও জানানো হয়েছে, এর জন্য কোনও নতুন ভবন বরাদ্দ করা যাবে না। হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়েই এই নতুন ইউনিটের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল গুলিতে রাখতে হবে নেগেটিভ প্রেসার ভেন্টিলেশন সিস্টেম।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট প্রকল্পে ঋণ না দিলে সমস্ত সরকারি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি
এতদিন, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নর্থ বেঙ্গল হাসপাতালে ছিল শিশুদের জন্য কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামো। এবার এই তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও মালদা মেডিক্যাল কলেজকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শিশুদের করোনা চিকিৎসায়, রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের ক্ষেত্রে মেন্টর হিসেবে কাজ করবে এই পাঁচ হাসপাতাল।