ওয়েব ডেস্ক: ক্রমশ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে আফগানিস্তানে। গত কয়েকদিনে আমূল বদলে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিস্থিতি। বেশ কিছু ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও কাবুলে এখনও আটকে রয়েছে ভারতীয়রাও। এই পরিস্থিতিতেই জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়মিত দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত কাবুল থেকে বিমানের ফিরে আসা নিয়ে সমস্ত তথ্য নেন। ভারতের যেসব নাগরিক এখনও আফগানিস্তানে আটকে,তাঁদের কি করে সুরক্ষিত ভাবে ফেরানো যায়, তা নিয়ে অনবরত চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার।
গতকাল গভীর রাতে প্রথম দফায় কাবুল থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয় ৪৫ জন ভারতীয়কে। আজ ফের আরও ১২০ জনকে নিয়ে দিল্লির নিকটবর্তী হিন্দন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে বায়ুসেনার আরও একটি বিমান। তবে এই কাজটি খুব একটা সহজ ছিল না। বিমানবন্দরে আসার পথেই তালিবান সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। জানা গিয়েছে, ভারতীয় দূতাবাসের উপরও কড়া নজর রাখছিল তালিবানরা। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়েও ঢোকার চেষ্টা করে তালিবানরা।
ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে তালিবানদের ‘কার্যত’ পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া ও চিন
প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখলের পরই ১৫ অগস্টের রাতেই আফগানিস্তানে উড়ে যায় দুটি ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। তাদের সঙ্গে যায় ইন্দো-টিবেটিয়ান বাহিনীর জওয়ানরাও। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে ১৫ অগস্টের রাতে কোনও উদ্ধারকার্য শুরু করা যায়নি। এরপরে গতকাল ১৬ অগাস্ট থেকে শুরু হয় দফায় দফায় উদ্ধারকাজ।
খবর, বিমানবন্দরে আসার পথেই তালিবান সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয় ভারতীয়দের। এই প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর টুইট করেন, ‘ভারতীয় অ্যাম্বাসাডার ও দূতাবাসের আধিকারিকদের কাবুল থেকে ভারতে ফেরানোটা যথেষ্ট কঠিন ও জটিল ছিল। সকলের সহযোগিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’
এখনি পেট্রল-ডিজেল এর দাম কমানো সম্ভব নয়, কারণ স্পষ্ট করলেন সীতারমন!
কীভাবে উদ্ধারকার্য পরিচালন করা যায়, তা নিয়ে গতকাল বিকেলেই মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, এমনটাই সূত্রের খবর। রাতে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিনের সঙ্গেও কথা বলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। উল্লেখ্য, এর আগেও কান্দাহার বিমান হাইজ্যাক থেকে শুরু করে একাধিক দেশে ভারতীয়দের উদ্ধারকার্যে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অজিত দোভাল। মঙ্গলবার তাঁরই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয়েছে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই বৈঠকে আলোচনার পরেই সম্ভবত আগামী উদ্ধার কাজের রুটম্যাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
