ওয়েব ডেস্ক: শহরের মানুষ টিকা পাচ্ছেনা। যে ভাতা দেওয়া হতো গরীবদের তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর সময় পেরিয়ে গেলেও পুরনিগম নির্বাচন হয়নি। এই সব একাধিক ইসু নিয়ে আজ শিলিগুড়ি পুরনিগম অভিযান করে বাম নেতৃত্ব। এই মিছিল শেষে বামনেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আপাতত পুরনিগমকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে গেলাম এরপর এসে লাল কার্ড দেখাবো। কারণ এরা অনৈতিকভাবে পুরনিগম দখল করে আছে। পালটা রঞ্জন সরকার বলেন ওদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে শহরের মানুষ। তাই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছিনা।
আজ অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে থেকে তারা মিছিল বের করে। মিছিলে নেতৃত্বে দেন অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তারা সদলবলে এসে পুরনিগমের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। সেখানেই বক্তব্য রাখেন বাম নেতৃত্ব। পরে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একবছর হয়ে গেলেও নির্বাচন হলো না। আইন না মেনে এই বোর্ড গঠন করেছে রাজ্য সরকার। আর তারা সুযোগ পেয়েও মানুষের জন্য কাজ করছেনা। তাই তাদের হলুদ কার্ড দেখিয়ে গেলাম। তবে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আগামীতে আইন অমান্য করে লাল কার্ড দেখিয়ে যাবো।
এখনি পেট্রল-ডিজেল এর দাম কমানো সম্ভব নয়, কারণ স্পষ্ট করলেন সীতারমন!
যদিও এই ঘটনা কে গুরুত্ব নিতে নারাজ প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই শহরের মানুষ উনাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। অশোক ভট্টাচার্যের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তাই ওদের এসব আন্দোলন করে কোনও লাভ নেই। কারণ মানুষের কাছে ওদের আর অস্তিত্ব নেই। আমাদের সরকার আইন মেনেই বোর্ড গঠন করেছে।
তৃণমূলের উপর হামলার ঘটনাই বিজেপির নিন্দাই মানিক সরকার
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অশোক ভট্টাচার্যকেই প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নির্বাচন শেষে তৃণমূল ক্ষমতায় এসে গৌতম দেবকে প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান করেন।