ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বৈঠকের পরে, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে ধূপগুড়ির ডাক বাংলো ময়দানে একসঙ্গে বামেদের সমর্থনে সভা করলেন। উভয়েই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে সিপিআই (এম) প্রার্থী ঈশ্বরচাঁদ রাইকে বিজয়ী করার আবেদন করেছিলেন।
ওই আসনে বিজেপির এক বিধায়ক ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর এ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। এখানে কংগ্রেস সিপিআই (এম) প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে, অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন। ধূপগুড়িতে জনগণের উদ্দেশে অধীর বাবু বলেন, বাংলায় মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন তার প্রমাণ। নির্বাচনে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। খোলামেলা সহিংসতার খেলা হয়েছে। এই কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
অন্যদিকে মোঃ সেলিম জনগণের উদ্দেশে বলেন, মোদি এদেশকে লুট করছেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে লুট করছেন। জনগণকে শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। দুজনের মধ্যে এমন যোগসাজশ রয়েছে যে দুর্নীতি, ডাকাতি ও ধর্ষকের আসামিরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইডি ও সিবিআই উভয়েই নীরব। হাইকোর্ট বারবার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলছে। এ সত্ত্বেও কিছুই হচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে ধূপগুড়িতে বামফ্রন্ট প্রার্থীকে বিজয়ী করা দরকার, যাতে তিনি বিধানসভায় সাধারণ মানুষের হয়ে আওয়াজ তুলতে পারেন।
আরও পড়ুন : সমাবেশে মঞ্চ থেকে ইডি-সিবিআই অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন বাম নেতৃত্ব
সাগর দিঘি মডেল হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে জেতার পর তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। বাইরনের ডিগবাজি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়ে ছিল কংগ্রেস ও তার জোট সঙ্গী সিপিএমকে। এ দিন মঞ্চে ডেকে প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে মহম্মদ সেলিম বলেন, “কেউ কেউ বলছেন না সাগরদিঘি, সাগরদিঘি? ঈশ্বরচন্দ্রবাবু কেও বলতে হবে আপনারা তো ভোট দেবেন। ভোটের পর উনি কি করবেন।” সেলিমের কথা শেষে হতেই মাইকের কাছে এগিয়ে গিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র রায় কার্যত শপথ নেওয়ার ভঙ্গিতে বলেন, “আমি বামফ্রন্ট মনোনীত, কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে শপথ করছি, আপনারা যেভাবে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন ৫ সেপ্টেম্বর আশীর্বাদ করবেন। আপনাদের ছেড়ে আমি কোনও দিন কোনও ভাবেই অন্য কোনও রাস্তায় যাব না, যাব না।”