ওয়েব ডেস্ক: ওমিক্রনের হাত ধরেই ধীরে ধীরে শেষের পথে এগোবে করোনা, বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মত ওমিক্রনই সম্ভবত মহামারীর অন্তিম ভ্যারিয়েন্ট। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন শেষ নয়, করোনাভাইরাসের আরও নতুন ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট ভ্যারিয়্যান্টগুলির সংক্রমণ ক্ষমতাও হতে পারে অনেক বেশি এবং তা নতুন করে বিশ্ববাসীর চিন্তার কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কি সম্ভাবনা রয়েছে নতুন ঢেউয়ের?
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যত বেশি মানুষের শরীরে সংক্রমণ করতে পারবে ভাইরাস, তত বেশি করে সে নতুন ও শক্তিশালী রূপ ধারণ করতে সক্ষম হতে পারে। এই কারণেই ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা, মাস খানেকের কিছু বেশি সময়ে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে যে ভাইরাস। যেহেতু বর্তমান স্ট্রেনটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা ধরে। এমনকি প্রতিষেধকের বেড়াজাল ডিঙিয়েও।
উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। একাধিক দেশে নতুন ঢেউয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রন। সম্প্রতি এই ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে ফের বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছেন WHO প্রধান Tedros Adhanom Ghebreyesus। তিনি বলেন,’ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ভাইরাস। বিশেষত যারা টিকা নেননি তাঁদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে করোনার এই ভ্যারিয়্যান্ট।’
কোভিড-১৯ এর কারণে স্কুল বন্ধ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই: বিশ্বব্যাংক বিশেষজ্ঞ
এদিকে লাগাতার সংক্রমণ বাড়ছে দেশে। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, জানুয়ারির শেষেই দেশে ওমিক্রনের দাপট চূড়ান্ত হতে পারে। পরিস্থিতি সেদিকেই গড়াচ্ছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেট। রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২০২ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের।