ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদনের মামলার শুনানিতে আইনজীবীর সওয়াল ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়। কারণ, মুকুল রায়ের আইনজীবীর দাবি, “মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন। তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি।” শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে শুনানিতে একথা বলেন তিনি।
অবশ্য মুকুল রায়ের আইনজীবীর এই দাবিকে একেবারেই মানতে নারাজ বিজেপির আইনজীবী। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন ফুটেজও রয়েছে তাদের কাছে। তার পরেও কিভাবে তার আইনজীবী বলতে পারেন যে তিনি বিজেপি ছাড়েনি? কার্যত এই প্রশ্ন তুলে মুকুল রায়ের আইনজীবীর এই দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির আইনজীবী। বিজেপির আইনজীবীর বক্তব্য,’এ বিষয়ে তিনি আইনগত ভাবে প্রতিবাদ জানাবেন। ‘
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ করে জোড়াফুল ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক
গত ২০১৭ সালের নভেম্বরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। কয়েকবছর পর তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুও দলবদল করেন। ২০২০ সালে দলের হয়ে ভাল কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বিজেপিতে (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। একুশের বিধানসভা ভোটে প্রায় প্রচার ছাড়াই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জেতেন মুকুল রায়। পরে আবার তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক। তার বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি।
এদিকে, তৃণমূলে ফিরে আসার পর তাকে পিএসির চেয়ারম্যান করা হয়। তাতে বিতর্ক আরও বেড়ে যায়। বিরোধীদের দাবি করে, নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দল থেকেই পিএসির চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, মুকুল রায় শাসক দলে থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে চেয়ারম্যান করা হলো? সেই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এর পরেই তাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ অবৈধ দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
পাহাড় রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন, বিনয় তামাং-রোহিত শর্মার তৃণমূলে যোগদান
বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে আগামী ৩ জানুয়ারি মুকুল রায়ের মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে, সুপ্রিমকোর্টের মামলাটি আগামী ২২ জানুয়ারি ওঠার কথা আছে।
