ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা নিয়ে তেমন কোনও আশা ছিল লা। স্পষ্ট স্বীকারোক্তি BJP-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বিজেপির আভ্যন্তরীণ রদবদল এবং পুরভোটের ফলাফল সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি আক্রমণ করেন শাসকদলকে।
তিনি বলেন বিজেপির আভ্যন্তরীণ রদবদলের সঙ্গে ভোটের ফলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন তৃণমূল একার কথায় চলে এবং কংগ্রেস এই করে উঠে গেছে। কিন্তু বিজেপি ওরকম পার্টি নয়।
তিনি আরও বলেন বিজেপি বিধানসভা ভোটে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলার মানুষ বিজেপিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পুরভোটে বিধানসভার থেকে বেশী ভোট পড়েছে এবং এই বিষয়টি অবিশ্বাস্য বলেও বর্ণনা করেন তিনি। পুরোটাই সাজানো বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এই নির্বাচনে সিপিএম-কে তুলে আনার চেষ্টা হয়েছে। হাওড়া এবং বিধাননগর পুরনির্বাচনেও এভাবেই ভোট করার প্ল্যান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে অবশ্য প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ পুরভোটের প্রচারে দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতারা অনেকেই দাবি করেছিলেন, কলকাতা পুরসভা থেকেই পরিবর্তনের সূত্রপাত হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত ১৪৪টি আসনে লড়ে মাত্র তিনটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি৷ ভোট প্রাপ্তির নিরিখেও বিজেপি-কে টপকে গিয়েছে বামেরা।
‘মুকুল রায় বিজেপিতেই’, স্পিকারের কাছে দাবি তাঁর আইনজীবীর
মঙ্গলবারই ঘোষণা হয়েছে কলকাতা পুরসভা ভোটের ফলাফল। ১৪৪ টি আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসন পেয়েছে শাসক তৃণমূল। BJP-র ঝুলিতে গিয়েছে তিনটি আসন। নির্দল পেয়েছে ৩টি আসন। বাম-কংগ্রেস ২টি করে আসন পেয়েছে। ফলাফলেই স্পষ্ট হয়েছে, ছোট লালবাড়ি এবার বিরোধী শূন্য হতে চলেছে। কারণ বিরোধীদের সম্মিলিত আসন ন্যূনতম ১৪ থেকেও কম।
পাহাড় রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন, বিনয় তামাং-রোহিত শর্মার তৃণমূলে যোগদান
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, ‘দিলীপবাবু এটা বলতে বাধ্য হচ্ছেন। তার দুটো কারণ৷ প্রথমত, এটা বাস্তব বিজেপি-র সংগঠন নেই এবং তারা দুর্বল৷ দ্বিতীয় কারণ হল, বিজেপি-র খারাপ ফল হওয়ায় দিলীপ বাবু মনে মনে খুশি হচ্ছেন। কারণ তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷’ তৃণমূল নেতার আরও দাবি, ‘শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই বিজেপি দুর্বল৷ কারণ ঝাড়গ্রাম সহ যে এলাকাগুলিতে বিজেপি লোকসভায় জিতেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়ে সেসব জায়গাতেও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভরাডুবি হয়েছে৷’