ওয়েব ডেস্ক: কলকাতার পুরভোটের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়রি সংরক্ষণের তালিকায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালত ইভিএম সংরক্ষণ করার নির্দেশও দিল। উল্লেখ্য, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিল বিজেপি। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, পুলিশ দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে প্রস্তুত তারা। সেই দাবির প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা দেখেনি উচ্চ আদালত। তবে ভোটে অশান্তি হয়েছে বিস্তর। আর তাই পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালত ইভিএম, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল। পাশাপাশি আগামী সব পুরভোটের ক্ষেত্রেই সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরনির্বাচন ছিল। ভোট শুরুর আগে থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব ছিল বিরোধীরা। বেলা বাড়তেই তা কার্যত ভয়াবহ আকার নেয়। প্রকাশ্যে ছাপ্পা, বুথ লুঠের মতো অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। এমনকি আতঙ্ক তৈরি করতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে।
জগদীপ ধনখর টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ব্যথা প্রকাশ করেছেন
আর এই ঘটনার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানায় বিরোধীরা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। আর এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধীরা বিচার চেয়ে মামলা করে আদালতে। এমনকি প্রার্থীরাও ভোট লুঠের অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
সম্প্রতি সেই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির এজলাসে। সবপক্ষের বক্তব্য শোনে আদালত। কার্যত সেখানে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাতে শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে পুর মামলার নির্দেশিকা আপলোড করা হয়েছে।
‘সংগঠন দুর্বল, পুরভোটে সাফল্যের আশা করিনি’, স্বীকারোক্তি দিলীপের
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পুরসভাগুলিতে নির্বাচন। জানুয়ারি ২২ এবং ফেব্রুয়ারির ২৭-এ বাকি পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হবে। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর এরপরেই এই নির্দেশ আদালতের।