ওয়েব ডেস্ক: দৌড়ানো একটি অত্যন্ত ভালো কার্ডিও এবং সীমিত সময়ের মধ্যে অনেকটা ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। এমনকী দৈনিক মাঝারি গতিতে ৩০ মিনিট দৌড়ালেই আমাদের অনেক লাভ হয়। তবে দৌড়ানোর সময়ে সঠিক পন্থা অবলম্বন করা এবং ঠিকমতো নিঃশ্বাস নেওয়া জরুরি। ছন্দ মেনে নিঃশ্বাস নিলে দৌড়ানোর গতি বাড়ে যা পরবর্তীকালে বেশি ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে।
বেশিরভাগ মানুষেরই এক্সারসাইজ করার সময়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখার অভ্যাস রয়েছে। যার ফলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে, ক্লান্তিভাব এমনকী হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে ওয়ার্কআউট আরও বেশি কার্যকারী হয়, তা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে মজবুত করে এবং পেশির দৃঢ়তা বাড়ে। এমনকী দৌড়ানোর সময় সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে দ্রুত দৌড়ানো যায়, যা ওজন কমাতে কিংবা ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুত হতে খুবই প্রয়োজন।
কীভাবে সঠিক উপয়ে নিঃশ্বাস নিতে হবে
দৌড়ানোর সময় নিঃশ্বাস নেওয়ার সঠিক পন্থা হল পা ফেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালানো। প্রথমত, দৌড়ানোর ধরন ঠিক করতে হবে, তার পরে পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্বাসকে মেলাতে হবে। ডান পা এবং বাম পা ফেলার মধ্যে বিকল্পভাবে নিঃশ্বাস ছাড়তে এবং নিতে হবে। ছন্দোবদ্ধভাবে নিঃশ্বাস নিলে শরীরের উপর চাপ না ফেলে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বেশি অক্সিজেন শরীরে যেতে পারে। পাশাপাশি, দৌড়ানোর সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে সামনের দিকে তাকাতে হবে এবং দক্ষতার সঙ্গে শ্বাস নিয়ে কাঁধ শিথিল রাখতে হবে।
ব্রণ ও পিম্পলের সমস্যা নিমেষেই দূর করতে ক্লে মাস্কের উপকারিতা বিস্তারিত যেনে নিন
নাক ও মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস
সাধারণত আমরা নাক দিয়ে শ্বাস নিই কারণ নাকের মধ্যে থাকা রোমগুলি বাতাস ফুসফুসে পৌঁছাবার আগে পরিশোধন করে। ওয়ার্কআউট করার সময়ে আমরা নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়তে পারি। দৌড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা দু’টি পন্থা অবলম্বন করতে পারি। প্রথমত, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া এবং মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়া অথবা দু’টি ক্ষেত্রেই মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালানো। জোরে দৌড়ানোর সময়ে পেশির মধ্যে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এবার থেকে রূপচর্চায় কাজে লাগান কলার খোসা, দাগ-ছোপ ও ব্রণের সমস্যা নিমেষেই দূর হবে!
সমানভাবে শ্বাস নেওয়ার কৌশল
ধাপ ১- একটি শান্ত জায়গায় বসে চোখ বন্ধ করতে হবে।
ধাপ ২- রিল্যাক্স করার জন্য ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে এবং ছাড়তে হবে।
ধাপ ৩- চার সেকেন্ডের জন্য নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে।
ধাপ ৪- ফুসফুসে বাতাস ধরে রাখার জন্য কিছু সেকেন্ড বিরতি দিতে হবে।
ধাপ ৫- চার সেকেন্ডে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে।