ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান আগেই তুললে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার তারই পাল্টা বামেদের ‘মানুষের পঞ্চায়েত’। সিপিএম সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে একাধিক জেলা কমিটি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, যে বিজেপির তোলা এই স্লোগানের ফলে বাম ভোটে ভাঙন ধরাতে পারে। কারণ রাজ্যে মমতা বিরোধী একটা হাওয়া চলছে।
এই দিন বুধবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বিসয়ে আলোচনা হয়। তাদের অনুমান, শুভেন্দু অধিকারীর ‘NO VOTE TO MAMATA’ স্লোগান, তৃণমূলের বিরুদ্ধে গেলেও বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেবে বিজেপিকে। এরই পাল্টা কৌশল হিসেবে ‘মানুষের পঞ্চায়েত’ গড়ার ডাক সিপিএমের।
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে RSS। তারাই, ‘NO VOTE TO MAMATA’ – স্লোগানটিকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্ট্রাটিজি বদলের পথে হাঁটছে বামেরা। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, এর আগে একটা স্লোগান ছিল- নো ভোট টু বিজেপি। তাতে লাভ হয় তৃণমূলের। আমাদের স্লোগান – নো ভোট টু মমতা, নো ভোট টু বিজেপি। কারণ একে অপরের পরিপূরক এবং এরই একটা পজিটিভ ওয়েতে মানুষের পঞ্চায়েত। নিচতলার কর্মীদের এই নিয়ে বোঝাচ্ছি।
ডিজিটাল ডেস্ক : পঞ্চায়েতে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই আসে না, সীতারাম ইয়েচুরি
আগামী পঞ্চায়েত ভোটে জোট নিয়েও এদিন সিদ্ধান্ত হয় সিপিএমের বৈঠকে। এক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপি ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছে তারা। সিপিএম সূত্রে দাবি, ৭০ শতাংশ আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়ে গেছে। বাকি, ৩০ শতাংশের কাজ এই সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে।
ডিজিটাল ডেস্ক : সঙ্ঘের বাড়বাড়ন্তের ওপর রাশ টানতে বিশেষ উদ্যোগ নিলো সিপিএম
দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, আমরা কোনও মহাজোট নই। তবে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে এক করব। কংগ্রেস, SUCI, ISF…তৃণমূল বিজেপি বাদ দিয়ে বিকল্প লড়াই। এটাই হবে কৌশল।