ওয়েব ডেস্ক: আপনার শরীরের সঠিকভাবে কাজ করতে কিছু কোলেস্টেরল প্রয়োজন। তবে আপনার রক্তে যদি এটা অত্যধিক পরিমাণ থাকে তবে এটি আপনার ধমনীর দেওয়ালে লেগে থাকতে পারে এবং ধমনির পথ সংকীর্ণ হতে পারে বা এগুলি ব্লক করতে পারে। এটি আপনাকে করোনারি ধমনী রোগ এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
লাইপোপ্রোটিন নামক প্রোটিনের মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল চলাচল করে। এলডিএল(Low-density lipoprotein) যাকে আমরা কখনও কখনও “খারাপ” কোলেস্টেরলও বলি, এটির উচ্চ মাত্রা ধমনীতে কোলেস্টেরল জমাই। আর একটি প্রকার, এইচডিএল(High-density lipoprotein) যাকে কখনও কখনও “ভাল” কোলেস্টেরলও বলা হয়। এটি আপনার শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে কোলেস্টেরল বহন করে আপনার লিভারে নিয়ায়ে আসে। তারপরে আপনার লিভার আপনার শরীর থেকে কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়। কোলেস্টেরল (Cholesterol) সরাসরি হার্টের আঘাত করে। হার্টের রক্তচলাচল বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়।
উচ্চ কোলেস্টেরলের চিকিৎসা কি কি?
উচ্চ কোলেস্টেরলের চিকিৎসা হ’ল হার্ট-স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং ওষুধ। জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা।
রোগ হলে চিকিৎসকের কাছে তো যেতেই হবে। তার চেয়ে রোগ আগে থেকেই একটু প্রতিরোধের চেষ্টা করা যাক? রান্নাঘরের জিনিসপত্র দিয়েই এই মারাত্মক রোগটি প্রতিরোধ করা যায়। যেমন
সপ্তাহে ৪ দিন কাজ ও ৩ দিন ছুটি! নিয়ম আনতে চলেছে সরকার
গ্রিন টি: জলের পরেই যে তরলটি আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী তা হল গ্রিন টি। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনোল। এই যৌগটি শরীরের নানা উপকারে লাগে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলগুলি কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর।
রসুন: রান্না ঘরের অন্যতম প্রয়োজনীয় এবং গুণী কন্দ এই রসুন। ভারতীয় তথা বাঙালি রান্নায় রসুনের ব্যবহার যথেষ্ট পরিমাণে হয়ে থাকে। রসুনে থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এবং অর্গানোসালফার যৌগ। এগুলির সংমিশ্রিত প্রয়াসে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্ট্রল দূর হয়। প্রতিদিন অর্ধে কিংবা একটি রসুন রোজ খেলে খারাপ কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
আমলকী: আমলকীতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফেনোলিক যৌগ। থাকে খনিজ পদার্থ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডও। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকীর ব্যবহার চলে আসছে। নিয়মিত আমলিক খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করা যায়। দিনে একটি বা দুটি গোটা আমলকী রোগকে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখবে।
তৃতীয় তরঙ্গ “অনিবার্য, ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ভারতকে আঘাত করতে পারে”: AIIMS চিফ
ধনে: ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে দূর করতে ধনে বীজেরও জুড়ি মেলা ভার। আপাত নিরীহ এই মশলাটির ভেষজ গুণ ভয়ানক। এতে আছে একাধিক ফোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বিটা -ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন।
মেথি: ধনের মতোই উপকারী মশলা হল মেথি। রান্নায় এটি স্বাদ আনতে যেমন পটু, তেমনই দক্ষ ভেষজ গুণ প্রয়োগে। মেথি বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ। মেথি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আর এর ফাইবার লিভারের সংশ্লেষণ কমায়। প্রতিদিন এক চামচ মেথি খেলে শরীর সুস্থ থাকবেন।