Table of Contents
কলকাতা। করোনা ভাইরাসের দাপটে মাস্ক এখন নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে এক পাও না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্ভব হলে বাড়ির মধ্যেও মাস্ক পরে থাকার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কাপড়ের মাস্ক না সার্জিক্যাল মাস্ক? এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে কোনটা বেশি উপকারি? তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
করোনার কালো ছায়া থেকে বাঁচতে প্রথম থেকেই মাস্ক ও স্যানিটাইজারের উপর জোর দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। সার্জিকাল মাস্ক এক বার পরার পরই ফেলে দিতে হয়, কিন্তু কাপড়ের মাস্ক পুনর্ব্যবহারযোগ্য বলে জানিয়েছে WHO। তবে বিশেষ কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। দেখে নেওয়া যাক সেবিষয়ে কিছু তথ্য
COVID-19: কোনটি মাস্ক, কখন ব্যবহার করা উচিত
যে ধরণের মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে তা নির্ভর করে যে তারা সুরক্ষার স্তরের দিকে এবং তার অন্তর্নিহিত অবস্থার উপর নির্ভর করে। “যে সকল স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে সেখানে কাপড়ের মাস্ক গুলি ব্যবহার করা যেতে পারে, কেবল এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ’ল মাস্কটিতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ স্তর সূক্ষ্ম ফ্যাব্রিকের (পছন্দসই তুল) থাকা উচিত, যাতে ফিল্টার করার জন্য ছিদ্র থাকতে পারে।
কখন সার্জিকাল মাস্ক পরবেন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র মতে, করোনার লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিরা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীদের যারা দেখভাল করছে, তাদের সার্জিকাল মাস্ক পরা উচিত। যে এলাকায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, সেখানেও সার্জিকাল মাস্ক পরা উচিত। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের সার্জিকাল মাস্ক পরা উচিত।
কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র পরামর্শ অনুযায়ী, যারা করোনায় আক্রান্ত নয় বা যাদের মধ্যে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ নেই, তারা ফ্যাব্রিক বা কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর আগেও ত্রিস্তরীয় কাপড়ের মাস্কের উপর গুরত্ব দিয়েছিল WHO। মাস্কের যে অংশটি ভিতরের দিকে থাকবে, তাতে সুতির কাপড় দেওয়া থাকলে ভাল, কারণ তা মুখ থেকে নির্গত ড্রপলেটস দ্রুত শুষে নিতে পারে। মাঝের স্তরে পলিপ্রোলাইনের মতো উপকরণ থাকবে, যা ফিল্টারের কাজ করবে। আর বাইরের স্তরে পলিয়েস্টারের মতো উপকরণ থাকলে ভাল, যা মুখের ভিতর থেকে সংক্রমণ বাইরে ছড়াতে দেবে না এবং বাইরে থেকেও সংক্রমণ মুখে প্রবেশ করতে দেবে না।
চল্লিশ পেরোলে সুগারের থেকে বাঁচতে মাটির নিচের যে সবজি খেতে হবে
তবে কাপড়ের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে WHO –
১) মাস্ক পরা বা খোলা, যেকোনও সময় মাস্কে হাত দেওয়ার আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। মাস্কের কোথাও যাতে ছেঁড়া বা ছিদ্র না থাকে, তা দেখে নিন ভাল করে। ময়লা মাস্ক পরবেন না।
২) মাস্ক পরার পর যাতে মুখের দু’পাশে ফাঁক না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাস্ক পরার পর মুখ, নাক ও থুতনি সম্পূর্ণ ঢাকা থাকতেই হবে।
৩) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, ঘন ঘন মাস্ক না ছোঁয়াই ভাল। কিন্তু যদি কোনও কারণে মাস্ক খুলতেই হয় বা ঠিক করতে হয়, তাহলে কানের পাশে কিংবা মাথার পিছনে মাস্কের দড়ি ধরেই খুলতে বা পরতে হবে। মাস্ক খোলার পর সাথে সাথে মুখের কাছ থেকে সরিয়ে নিন।
৪) মাস্ক খোলার পরেও হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৫) সাবান দিয়ে মাস্ক ধুতে পারেন। তবে দিনে একবার গরম জলে সাবান দিয়ে মাস্ক ধোওয়া ভাল।