ওয়েব ডেস্ক: হঠাৎ কয়েক ফোটা বৃষ্টি তো, পরক্ষণেই রোদ। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় সর্দি-কাশির সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছেন অনেকেই। সারা বছরই ঠাণ্ডা লাগার ধাত যাঁদের থাকে, তাঁদের তো বটেই, এমনকি, রীতিমতো সুস্থ মানুষও এমন খেয়ালি আচরণের কোপে পড়ে হারাচ্ছেন নীরোগ থাকার পাসওয়ার্ড। এমনিতে করোনা চলছে, তার উপর এই সব সমস্যা হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
অসুখ করলে ঠিকঠাক চিকিৎসার ব্যবস্থা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে নিজেদের বাঁচাতে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করা যেতেই পারে। এতেও অসুখে স্বস্তি মেলে।
আদা: সর্দি-কাশি ঠেকাতে আদা-চা যে খুব কার্যকর এ কথা কমবেশি সকলেই জানেন। এমন চা ফোটানোর সময় তাতে কিছুটা মধু ও লেবু যোগ করুন। শরীরকে গরম রাখতে ও সর্দি-কাশিতে দূর করতে এটিও বিশেষ উপকারী।
৩ টি ঘরোয়া গাছ যা ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে, যেনে নিন
ভেপার: কান, গলা, মাথা ঢেকে ফেলুন বড় চাদর দিয়ে। বিছানার চাদরের ঘেরাটোপে নিজেকে রেখে গরম জলের ভাপ নিন। গরম জলে ব্যাকটেরিয়া নিরোধক কিছু ওষুধও ফেলতে পারেন। অনেকে ক্যামোমাইল বা ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করেন। ভাপ নিলে আপনার পোস্ট নেজ়াল ড্রিপিং কমবে, ফলে কাশিও কমতে বাধ্য। ভাপ নেওয়ার সময় পাখা বন্ধ রাখবেন। ভাপ নেওয়ার পরেও মিনিট দশেক পাখার তলায় থাকবেন না।
গরমে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে প্রয়োজন নিম এবং অ্যালোভেরা, কিভাবে যেনে নিন
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: গলার মিউকাসকে ভাঙতে ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আপেল সাইডার ভিনিগার খুবই উপকারী। সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে প্রতি দিন ঈষদুষ্ণ জলে দু’চামচ আপেল সাইডার যোগ করে খালি পেটে খান। এতে ঠাণ্ডা লেগে হওয়া অসুখের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে।
মধু: প্রতি দিন ঘুমনোর আগে আনপাস্তুরাইজড মধু খান। কেউ কেউ গরম জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে থাকেন। কাশি কমাতে ও ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে দূরে থাকতে মধু খুব কার্যকর।