গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, গর্ভপাত এড়াতে এই টিপসগুলি মেনে চলুন

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েডের মতো দীর্ঘস্থায়ী কোন সমস্যা থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। নিয়মিত চেকআপ করুন। গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা বা অন্য কোনো গুরুতর সমস্যা থাকলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

by Chhanda Basak
Pregnancy First 3 months are risky, follow these tips to avoid miscarriage

গর্ভাবস্থা মহিলাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে মা ও শিশু উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এই সময়ে খুব সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস সঠিক হতে হবে। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কি খাবেন?

চিকিৎসকদের মতে, গর্ভপাত এড়াতে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য খাওয়া জরুরি। ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ শিশুর বিকাশে সাহায্য করে।

Pregnancy first 3 months are risky, follow these tips to avoid miscarriage

গর্ভাবস্থায় কি খাবেন না?

গর্ভাবস্থায় কিছু খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে, প্রথম 3 মাসে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। এটি বিশ্বাস করা হয় যে পেঁপে, আনারস এবং আমিষের মতো গরম জিনিসগুলি এড়ানো উচিত। এছাড়াও জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন, বেশি মিষ্টি খাবেন না।

আরও পড়ুন: IVF এবং IUI এর মধ্যে পার্থক্য কি? আপনার আইভিএফ বা আইইউআই করা উচিত কিনা তা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন তা জানুন

এগুলো এড়িয়ে চলুন

একজন নেতৃস্থানীয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, ধূমপান, অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন। এগুলো গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

কি করবেন আর কি করবেন না?

নিরাপদে ব্যায়াম করুন – নিয়মিত, মাঝারি ব্যায়াম গর্ভাবস্থায় উপকারী, তবে ওয়ার্কআউট হালকা রাখুন। গভীর শ্বাসের ব্যায়াম এবং প্রতিদিন হাঁটা উপকারী। তবে শারীরিক ব্যায়াম শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই করা উচিত।

আরও পড়ুন: ব্রেন টিউমার কি ক্যান্সার: এর বিপজ্জনক দিকগুলো কি?

স্ট্রেস কমান- স্ট্রেস গর্ভাবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। যতটা সম্ভব খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন এবং কম চিন্তা করুন। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাসের ব্যায়ামের মতো চাপ কমানোর কৌশলগুলি অনুশীলন করুন। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং কাউন্সেলিং সাহায্য করতে পারে।

নিয়মিত চিকিৎসা- এছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের মতো অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত চেকআপ করান। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় গুরুতর পেট ব্যথা বা অন্য কোন গুরুতর সমস্যা অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। এটা উপেক্ষা করবেন না।

Edtior's Picks

Latest Articles

Copyright © 2024 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news