797
কলকাতা। কাল রেল(INDIAN RAIL) ও রাজ্য সরকারের(WEST BENGAL GOVT) মধ্যে যে বৈঠক হই তাতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রেলকে বেস কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার(WEST BENGAL GOVT) বলে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তবেই ট্রেন চালু করা হোক। কবে থেকে, কি পদ্ধতিতে, কখন এবং ক’টি করে ট্রেন চলবে, তাড় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ফের দু’পক্ষের বৈঠক হবে।
রেলের(INDIAN RAIL) তরফ থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল চালানোর প্রস্তাব দেওযা হয়েছে, অর্থাৎ একটি লোকাল ট্রেনে ১২০০-র সিট থাকে সেই জাইগাই ৬০০ যাত্রীর কথা ভাবা হচ্ছে রেলের(INDIAN RAIL) তরফ থেকে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোকাল দিয়ে শুরু করতে চায় রেল(INDIAN RAIL)। তারপরে ২৫ শতাংশ লোকাল চালানোর প্রস্তাব রেলের। লোকালে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না রেলের তরফে। সব স্টেশনে লোকাল ট্রেন না দাঁড় করানোর প্রস্তাব দেওয়া হইছে।
পূর্ব রেলের(INDIAN RAIL) শিয়ালদহ শাখায়(SEALDAH STATION) দৈনিক (রবিবার বাদে) ৯১৫টি ট্রেন চলাচল করে। হাওড়া শাখায়(HOWRA STATION) সেই সংখ্যা ৪০৭। সেই সাথে মানুষের সংখ্যা টাও লক্ষাধিক। এ দিনের বৈঠকে রেল কর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে ওই সংখ্যার ১০-১৫% ট্রেন পরিষেবা শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিছু দিন পরে পরিস্থিতি বুঝে তা ২৫% করা যেতে পারে।
বৈঠকের পরে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাত্রী-স্বার্থে ট্রেন পরিষেবা চালু করতে হলেও অতি-মারির পরিস্থিতি এখনও রয়েছে। তাই ট্রেন চালানোর সঙ্গে কোভিডের সুরক্ষা-বিধিগুলি মেনে চলা বিশেষ জরুরি। রেল কর্তৃপক্ষ গোটা প্রস্তুতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে চূড়ান্ত পরিকল্পনার জন্য আগামী ৫ নভেম্বর বিকেলে ফের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’’
রেল কর্তারা জানিয়েছেন, কোন রুটে কোন সময়ে ট্রেন চলবে, আগামী বৈঠকে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। ক’টি ট্রেন অল-স্টপ বা গ্যালপ হবে, তা-ও সে দিন চূড়ান্ত হবে।
এ দিনের বৈঠকে রাজ্য(WEST BENGAL GOVT) স্পষ্ট করে দিয়েছে, শারীরিক দূরত্ব-বিধি, থার্মাল স্ক্রিনিং, সানিটাইজেসান ব্যবস্থা, মাস্ক পরার মতো কোভিড(COVID-19)-বিধি গুলো মানার পাশাপাশি স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর নির্দিষ্ট পদ্ধতি স্থির করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ রেল পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে কাজ করবে।
সমস্ত বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালান এ রাজ্যে বেশ কঠিন হবে সেটা আগে থেকে বুঝতেই পারছে রেল করতিপক্ষ। ফলে কিভাবে সবকিছু মেনে রেল চালান সম্ভব পরবর্তী বৈঠকের আগে সেটাই খতিয়ে দেখছে রেল কর্তারা। দেশের বেস কিছু জাইগাই রেল চালু হলেও তা কেবল মাত্র জরুরি পরিসেবার সাথে যুক্ত লোকের জন্য। এ রাজ্যে এ রকম বিভাজন করা মুশকিল। সেজন্যই মেট্রোর মতো টিকিট চালু করার সম্ভাবনা আপাতত নাই। রেলের আধিকারিকদের একাংশ এবার এও মনে করছেন রানাঘাট লোকাল, শান্তিপুর লোকাল, কৃষ্ণনগর লোকাল, বনগাঁ লোকাল, গেদে লোকাল প্রভৃতি ট্রেন এ নিত্ত যাত্রীদের ভিড় প্রচুর হইএ থাকে এখন সেইখানে ৫০% যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
রেল এবং রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিষেবা প্রাথমিক ভাবে শুরু হওয়ার পর কোথায় কেমন ভিড় হচ্ছে তা দেখে দফায় দফায় প্রয়োজনীয় রদবদল করা হতে পারে। লোকাল ট্রেন(LCL TRAIN) চালুর পরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে কি না, সে দিকেও নজর রাখা হবে।