ডিজিটাল ডেস্ক : বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু মনে করেন, রাজ্যে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধির কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা(global warming)। তিনি বলেন, পরিবেশ বাঁচানোর অভিযান বাংলার কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত রাজনীতির ইস্যুতে মানুষ আন্দোলন করেছে। কিন্তু পরিবেশ রক্ষাকে কখনোই আন্দোলনের ইস্যু করা হয়নি। বিমান বাবু বলেন, “এখন আন্দোলন হওয়া উচিত পরিবেশ রক্ষা নিয়ে।
বিশেষ করে জলাশয় এবং গাছ বাঁচাতে একটি আন্দোলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি পরিবেশ না বাঁচাই, তাহলে নিজেদের বাঁচাবো কি করে?” দুঃখ প্রকাশ করে বামফ্রন্ট সভাপতি বলেন, এখানে পরিবেশের গুরুত্ব নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে না। আমাদের দলকে এই তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
তিনি বলেন, “কোন দলই পরিবেশের জন্য আন্দোলন করে না। আমার মনে হয় এই বয়সেও কেউ আমাকে ডাকলে আমি পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন করতে প্রস্তুত।” বিমান বলল, “আমি গাছ কাটার বিরুদ্ধে। আমি বাংলাদেশে গিয়ে দেখেছি কিভাবে রাস্তার পারাপারে বড় বড় সব গাছ লাগিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি নদী রক্ষা ও তাদের জলাধার সংরক্ষণের ওপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন : সঙ্ঘের বাড়বাড়ন্তের ওপর রাশ টানতে বিশেষ উদ্যোগ নিলো সিপিএম
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে যারা অন্ধ হয়ে যাচ্ছে তারা পরিবেশের অনেক ক্ষতি করছে। এটা উদ্বেগজনক। সেজন্য পরিবেশ বাঁচাতে অভিযান আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি। বহু বছর ধরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআই(এম) অফিসের বাগানটি তার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এতে তার লাগানো একটি গাছও রয়েছে।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, ৪০০ জন তুলে নিলেন কাস্তে-হাতুড়ির পতাকা
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে বিমান বসু নিউ টাউনে অবস্থিত জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চও পরিদর্শন করেছিলেন। সেখানে তিনি মানুষের মাঝে চারা বিতরণ করেন। যারা চারা নিচ্ছেন তাদের যোগাযোগ নম্বর রাখতে কমরেডদের বলেছেন। যাতে পরে জানা যায় এই লোকেরা গাছটির কি করেছে।