ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে ভাবনাচিন্তা করছে শিক্ষা দফতর। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিষয়ে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন ওই পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে শিক্ষা দফতর।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “শিক্ষার অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ যদি এরকম চ্যান্সেলর থাকে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে তাও আমরা শিক্ষার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সহযোগিতা করেন না। সারাক্ষণ বেআইনি কাজ করেন। একটা কোনও নোট পাঠালে দিনের পর দিন ফেলে রাখেন। একটা কোনও প্রস্তাব পাঠালে তা হিমঘরে পাঠিয়ে দেন। এখন আবার UGC দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। সারাক্ষণ একটা হুমকি দেওয়ার প্রবণতা।”
‘মুকুল রায় বিজেপিতেই’, স্পিকারের কাছে দাবি তাঁর আইনজীবীর
এদিকে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তুঙ্গে উঠলো নবান্ন বনাম রাজ ভবন সংঘাত। উচ্চশিক্ষার হালহকিকত জানতে চলতি সপ্তাহে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-উপাচার্যদের ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সেই ডাকে সাড়া দেয়নি। এতেই চটেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রীতিমতো টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার কঙ্কালসার দশার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেন তিনি।
জগদীপ ধনখর টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ব্যথা প্রকাশ করেছেন
রাজ্যপাল আর বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় দলবাজি দেখে আমি স্তম্ভিত।‘ তিনি আরও লিখেছেন, ‘রাজ্যে আইনের নয় শাসকের শাসন চলছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় নিজেরদের লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিষয়টা তদন্ত করে দেখুক। রাজ্যের হাতে শিক্ষাব্যবস্থা ছেড়ে দিলে চলবে না।‘