ওয়েব ডেস্ক: ৪ পুরনিগমের ভটের ফলাফল শেষ হতেই চলছে সংখ্যাতত্ত্বের কাটাছেঁড়া। কারা জিতল কত ভটের ব্যবধানে জিতল, কে দ্বিতীয় স্থান পেল কেই বা তৃতীয় হল। ওয়ার্ড পাওর নিরিখে গেরুয়া শিবির এগিয়ে থাকলেও মোট প্রাপ্ত ভোটের শতাংশই হিসেবে পদ্ম শিবিরকে পেছনে ফেলেছে বামেরা।
আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর ও শিলিগুড়ির ভোটে সবকটাতেই জিতেছে তৃনমূল। এরই মধ্যে চন্দননগর ও বিধাননগর পুরভোটে বিজেপিকে পিছনে ফেলে ভোট শতাংশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো বামেরা। শিলিগুড়ি ও আসানসোলে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাদের থেকে খুব বেশি দূরে নেই লাল শিবির। এতদিন রাজ্য রাজনীতির বিরোধী রাজনীতির ফোকাস ছিল বিজেপির দিকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম বা কংগ্রেস কোনও আসন পায়নি। কিন্তু বিজেপি ৭৭ আসন পেয়েছিল। তারপর থেকে যে ভোট হয়েছে, তাতে বিরোধী পরিসরের ক্ষেত্রে বিজেপির ক্রমশ পিছু হঠার চিত্র ফুটে উঠছে।
আসানসোল পুরসভা অঞ্চলে একটি বিধানসভা আসন দখলে রয়েছে বিজেপির। কিন্তু পুরভোটে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ১৫.৯০ শতাংশ। এক্ষেত্রে তারা দ্বিতীয় স্থানে খুব কাছেই রয়েছে বামফ্রন্ট। তাদের প্রাপ্ত ভোট প্রায় ১২ শতাংশ। ২ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে কংগ্রেস। আবার চন্দননগরে উত্থান হয়েছে বামেদের। সেখানে একটি ওয়ার্ড দখলে রাখলেও বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ২৭ শতাংশের বেশি। বিধাননগরে প্রায় ১১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। শিলিগুড়িতে বামেরা তৃতীয় স্থানে থাকলেও প্রাপ্ত ভোট শতাংশে গেরুয়া শিবিরের কাছাকাছি রয়েছে। যদিও চারটি পুরনিগমেই চতুর্থ স্থানে শেষ করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কংগ্রেসকে।
পিএসিতে যেভাবে চেয়ারম্যান নিয়োগ হচ্ছে তাতে আদৌও কি গণতন্ত্র মজবুত হবে প্রশ্ন মান্নানের
তবে প্রাথমিক অনুমান, বিজেপিতে চলে যাওয়া জনসমর্থনের কিছু অংশ ফিরছে। আবার একটা অংশ তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছে। বলার মতো জনসমর্থন ফিরতে আরও সময় লাগবে বলেই মনে করছে আলিমুদ্দিন। সিপিএম নেতা রবীন দেবের অভিযোগ, বিধাননগর ও আসানসোলে ভোট হয়নি। মানুষের রায় লুঠ করা হয়েছে। তাই এই দুই পুরসভায় ভোট শতাংশ খুব বেশি বাড়েনি। চন্দননগরের শিলিগুড়িতে কিছুটা শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ বামেদের পক্ষে ইতিবাচক হয়েছে। সঠিকভাবে ভোট হলে বামেদের প্রাপ্ত ভোট আরো বাড়ত বলে তার দাবি।