ওয়েব ডেস্ক: এ বার ডেউচা-পাঁচামিতে বড়সড় আন্দোলনের পথে হাটতে চাইছে সিপিএম। সেখানকার কয়লাখনিকে সামনে রেখেই লগ্নি টানার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে একপস্থ কথাও হয়েছে শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে। সেই আবহে সেখানে সরকারের প্রতি মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভও সংগঠিত হচ্ছে। সেই প্রতিবাদ কে কোন বড়সড় আন্দোলনের রূপ দেওয়া যাই কিনা তা নিয়ে বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বৈঠকে বসেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব।
সূত্র মারফত যা খবর, বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব জেনেছেন, সেখানে যে বিপুল পরিমাণ কয়লা উত্তোলনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই তেমনটা নয়। আর কয়লা তোলা না গেলে সেখানে শিল্প আসার সম্ভাবনাও তৈরি হবে না। সে ক্ষেত্রে শিল্পায়নের নামে সেখানকার জমি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আত্মসাৎ করে নিতে পারে। তাই নেতারা দলকে সরাসরি এ বিষয়ে ওই এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার ও প্রতিবাদ-মুখী আন্দোলনে নামতে বলেছেন।
লেনদেনের সময় বারুইপুরে ২৫ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার তরুণী
সেই শিল্পায়নের নামে যাতে জমি শিল্পপতিদের হাতে না চলে যায় তাই ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চাইছে সিপিএম। ঠিক যেমন ২০০৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার ক্ষমতার আসার পর নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেই সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা। তাই তাঁর ধাঁচেই এ বার ডেউচা-পাঁচামিতে বড়সড় আন্দোলন করতে চাইছে সিপিএম।
মালদায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ‘নগদ টাকা-গয়না লুঠ’ পুলিসের! সাসপেন্ড ASI-সহ ৩
রাজ্য নেতৃত্বের এক নেতার কথায় বামপন্থীরা বরাবরই গণআন্দোলনের মাধ্যমেই উঠে এসেছে। ডেউচা পাঁচামি নিয়ে যে তথ্য পার্টির কাছে এসেছে, তাতে আন্দোলন করেই সেখানে সরকারের গায়ের জোরে জমি দখল করাকে রুখতে হবে। তাতে যেমন এলাকার মানুষের আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তেমনই, সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদেরকে আন্দোলনের প্রথম সারিতে রাখতে হবে।
