ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে পেট্রোল–ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দামও। বাদ নেই সবজির দাম বৃদ্ধি। দুর্গাপুজোর সময় থেকে চড়া বাজারদর। তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। মাছ–মাংস–সবজি–ফলের আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ জানতে বাজার পরিদর্শনে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। মূলত কালোবাজারি রুখতেই এই হানা ইবির।
শনিবার সকাল থেকেই সল্টলেক, ব্যারাকপুর এবং হাওড়ার কালীবাবুর বাজারে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (Enforcement Branch) আধিকারিকরা। তাঁর সবজি, ফল, মাছ এবং মাংস বিক্রেতাদে সঙ্গে কথা বলেন। কত দামে সবজি কিনছেন, কত দামেই বা বিক্রি করছেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সে সংক্রান্ত তথ্য জানার চেষ্টা করেন তাঁরা। বিক্রেতারা আদৌ সবজি মজুত করে দাম বাড়াচ্ছে কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
দীপাবলিতে ‘কড়া সুরক্ষাবিধি’ জারি করে রাজ্যগুলিকে উৎসবে লাগাম টানার নির্দেশ কেন্দ্রের
ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টি ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণেই দাম বাড়ছে। উৎসবের মরশুমে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পিঁয়াজ ও টম্যাটোর। বিক্রেতারা জিনিসপত্র মজুত করে কালোবাজারি করছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে ইবির আধিকারিকরা। বারবার সাবধান করেছেন অতিরিক্ত দাম যেন নেওয়া না হয়।
পুজোর পর প্রথম রাতের কারফিউতেই ৩১২ জনকে আটকাল কলকাতা পুলিশ
সাধারণত জোগান কম থাকার দরুন সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হয়। পিঁয়াজের দামের ঝাঁজে নাকাল হন গৃহস্থরা। তবে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পিঁয়াজের দামের গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করে। এবার কি হয়, সেদিকেই নজর সকলের।