ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুজো ২০২১-এর আর বেশি দিন বাকি নেই। এবার কি দুরগাপুজা হবে? এই করোনা কালের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। অতিমারী পরিস্থিতিতে বিধি নিষেধ মেনেই এবারও পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও দুর্গা পুজোয় কড়া নিয়ম থাকবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাই বাংলায় পুজো হবে কি না তা ঠিক করবে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ৭ দিনের মধ্যেই রাজ্যকে গাইডলাইন দেবে সংস্থা। রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দিলেই হবে পুজো। গতকালই সংস্থার সঙ্গে কলকাতার পুজো কমিটিগুলির বৈঠক হয়। তাতে প্রাথমিক ভাবে ছোট করে হলেও, পুজো হবে বলেই জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৈঠকে বসছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। জানালেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু। কোভিড পরিস্থিতিতে গতবার থেকেই ম্লান বাঙালির সেরা উৎসব। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগেরবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এবারেও তারা তিনদিক খোলা প্যান্ডেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবারও তেমন ব্যবস্থাপনা থাকছে বলে জানিয়েছেন শাশ্বত বসু। এবার ১৫ থেকে ২৫ জনই মন্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন। দূরত্ববিধি মেনেই হবে অঞ্জলির আয়োজন ও ভোগ বিতরণ। প্যান্ডেলের শিখর বেশ উঁচু করা হবে। ক্লাবের ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য একবারে মন্ডপের ভিতরে থাকতে পারবেন। মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে থাকা কর্মী, ঢাকী, স্বেচ্ছাসেবী, পুরোহিত, যাঁরা পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবেন, প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে হবে। অনেকের ইতিমধ্যেই টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। যাঁরা এখনও টিকা নিয়ে উঠতে পারেননি, ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁদের টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হবে বলেই জানানো হয়েছে। এবারও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং মণ্ডপে স্যানিটাইজেশনের যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হবে।
PAC চেয়ারম্যান পদের জন্য মুকুল রায় এর নাম ঘোষণা করলেন স্পিকার , নাম ঘোষণার পরই ওয়াক-আউট বিজেপির
ছোট-বড় মিলিয়ে কলকাতায় দুর্গা পুজোর সংখ্যা কম নয়। পুজোর চারদিন ঠাকুর দেখতে রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। যাত্রীদের চাপ সামলাতে রাতভর শহরের রাস্তায় চলে যানবাহন। ২৪ ঘণ্টা সচল থাকে মহানগর। কিন্তু গত বছর থেকে এই পরিস্থিতির পুরো পালটে গিয়েছে। তবে এবারও সুরক্ষার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সেই বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হবে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসবে’র (Forum for Durgotsab) বৈঠকে।