কলকাতা : ২০২১ এর নির্বাচনে কংগ্রেস–আইএসএফ নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করেছিল CPIM। এর ফলে তাদের ভরাডুবির মুখ দেখতে হই। বাম শিবিরের ঝুলিতে জুটেছিল শূন্য। সুতরাং দলের অন্দরেই প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এই পরিস্থিতিতে আর মোর্চা বজায় রাখা সমীচীন হবে কিনা। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আসা পর্যালোচনা রিপোর্টে সেই তথ্যই বলছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য কমিটিতে আগামী দিনে সুর সপ্তমে চড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাই রাজ্য কমিটি ২৯ মে বৈঠক ডেকেছে। তারপর আবার বৈঠক হবে জুন মাসে। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার জেলাগুলির রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক বসে। সূত্র মারফৎ জানা গেছে সেখানেই এই বিষয়টি উঠে আসে সদ্য গজিয়ে ওঠা আইএসএফ দলের জাপটাজাপটি জেলার নেতারা ভালভাবে নেয়নি। আবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলেও তাদের একটা বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছিল। তাই এই ধরনের মোর্চা গঠন করে আখেরে মুখ পুড়েছে মনে করছে জেলা নেতৃত্ব।
এবার Red Volunteers দের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি বিধায়ক
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আবার কি একলা চলার পথ ধরবে CPIM? এখানে একলা বলতে শরিকদের সঙ্গে থাকলেও কংগ্রেস–আইএসএফ ত্যাগ করা। সেটা বোঝা যাবে সামনের ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনে। এই ৬টি কেন্দ্র হল—সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং ভবানীপুর। এই উপনির্বাচনগুলিতে মোর্চা সঙ্গে থাকবে নাকি বামফ্রন্টগতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে তা নির্ভর করছে আগামী দিনে রাজ্য কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর।