Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে যদি সংসদ সায় দেয় তবে ৫২ বছর পর ফিরবে Vidhan Parishad । প্রস্তাব পাশ হলে তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। তারপর ছাড়পত্র পেলে লোকসভা ও রাজ্যসভায় দুই কক্ষে পাশ করাতে হবে। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই অনুমোদন আসলে তবেই রাজ্য চালু হবে বিধান পরিষদ। এই রাজ্যে ২৯৪ আসনের Vidhan Parishad এর সর্বোচ্চ আসন হবে ৯৮। তবে কখনই ৪০ এর নীচে আসন হবে না। যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে বিধান পরিষদের অবলুপ্তি ঘটে। দেশের ২৮টি রাজ্যে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদ ছিল। তারপর একে একে ২২টি রাজ্যে বিধান পরিষদের অবলুপ্তি ঘটে। তার মধ্যে বাংলাতেও তুলে দেওয়া হয় বিধান পরিষদ।
বিধান পরিষদ কি?
রাজ্য আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট বা এক কক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চ-কক্ষের নাম বিধান পরিষদ এবং নিম্ন কক্ষ বিধানসভা। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই বিধান পরিষদের অস্তিত্ব নেই। পশ্চিমবঙ্গও এক কক্ষ বিশিষ্ট।বিধান পরিষদের গুরুত্ব ও ক্ষমতা কি?ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার কোনও অবস্থাতেই তা ৪০-এর কমও হবে না। বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ৬ বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতি ২ বছর অন্তর বিধান পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করে থাকেন।
সুরুর ৫ দিনের মধ্যে Student Credit Card এর জন্য আবেদন জমা পড়ল প্রায় ১০ হাজার
বিধান পরিষদের আইনি ক্ষমতা কি?
অর্থবিল ছাড়া যে কোন বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায়। বিধানসভায় পাশ হওয়া কোন বিলকে বিধান পরিষদ সর্বাধিক ৪ মাস পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।বিধান পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা কি?অর্থ বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায় না। বিধান পরিষদের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে।বিধান পরিষদের শাসন ক্ষমতা কি?সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের মন্ত্রীসভা শুধুমাত্র নিম্ন-কক্ষ অর্থাৎ বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ। ফলে শাসন সংক্রান্তও তেমন ক্ষমতা নেই বিধান পরিষদের।বাংলায় বিধান পরিষদ নেই কেন?পশ্চিমবঙ্গে একসময় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্য আইনসভার উচ্চ-কক্ষ প্রায় ‘গুরুত্বহীন’ হয়ে পড়ে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সহ বহু রাজ্যে এই উচ্চ-কক্ষ বিলুপ্ত করা হয়। ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ অবলুপ্তির একটি প্রস্তাব পাস হয়। এরপর ভারতীয় সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ (অবলুপ্তি) আইন, ১৯৬৯ পাস হয়। ১৯৬৯ সালের ১ অগস্ট এই পরিষদ অবলুপ্ত হয়। যদিও ২০১১ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পুনরায় এই পরিষদ গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিল।