‘আমরা জোট ভাঙতে চাই না,‌ জোট ভাঙলে দায় নিয়ে হবে কংগ্রসকে’‌, বললেন বিমান বসু

by Chhanda Basak

ওয়েব ডেস্ক: খাতাই কলমে বামেদের সাথে কংগ্রেসের জোট অক্ষুণ্ণ। কিন্তু এআইসিসি-র নির্দেশে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। এমন কি প্রচার থেকেও সরে আসার কথা ঘোষণা করেছে তারা। আবার মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে বামেদের সমর্থন করা হবে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করার পরেও সেখানে এক এক রকম অবস্থান নিচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতিতে এবার কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। এমনকি জোট ভেঙে গেলে তার দায় যে কংগ্রেসের উপরেই বর্তাবে তার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা।

Left front chairman biman bose questioned the role of the congress

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও যেভাবে পরে বিপরীত অবস্থান নিয়েছে তাতেই চটেছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। এখন কংগ্রেস প্রচারেও নামবে না বলে সূত্রের খবর। আইএসএফ–ও সরে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তাঁকে কংগ্রেসের সাথে জোট ভেঙেযাওর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিমানবাবুর সটান জবাব, ‘আমরা জোট ভাঙতে চাই না। আগেও সে কথা বলেছি। জোট যদি ভেঙে যায়, তা হলে কংগ্রেসের ভূমিকা মানুষ দেখবেন।’

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান এইদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, এ বার বিধানসভা ভোটে সমঝোতা হয়ে যাওয়ার পরেও বামেদের ভাগে থাকা জয়পুর আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। আবার এখন জোটের মধ্যে আলোচনা ছাড়াই এক এক রকম অবস্থান নিচ্ছে তারা। বিধানসভা ভোটে লড়াই হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চার নামে। এখন তিন কেন্দ্রের ভোটে বাকি শরিকেরা নেই বলে সংযুক্ত মোর্চা নয়, বামফ্রন্টের মঞ্চ থেকে তাঁরা লড়ছেন বলে এ দিন ফের জানিয়েছেন বিমানবাবু।

ভবানীপুরে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতে কোন প্রার্থী এগিয়ে কোন প্রার্থী পিছিয়ে?

এইদিন ত্রিপুরায় সিপিএম দফতর এবং বাম নেতা-কর্মীদের উপরে বিজেপির হামলার প্রতিবাদে এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার ধর্মতলায় সভা ছিল বামফ্রন্ট এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের। প্রবল দুর্যোগের মধ্যেই সভা সারে বামেরা। নাছোড় বৃষ্টির মধ্যে এ দিন ধর্মতলার ফুটপাথে দোকানের ছাউনির তলায় দাঁড়িয়ে সভা করেন বাম নেতারা।

দেশের মেট্রো শহর গুলির মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ কলকাতা, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সেখানে বলেন, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে দিল্লিতে কৃষকেরা যে ভাবে ১০ মাস ধরে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন, স্বাধীনতার পরে এমন আন্দোলন হয়নি। সূর্যবাবুর বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকার আইন শিথিল করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের উপরে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে চাইছে। এ রাজ্যে তৃণমূল সরকার কৃষিপণ্য বিপণন আইন সংশোধন করে সেই পথেই গিয়েছেন। তৃণমূল এবং তাদের নেত্রী কৃষকদের আন্দোলনের পাশে থাকার কথা বলেছেন। রাজ্য সরকারকে আবার আবেদন জানাচ্ছি, ২৭ তারিখের ধর্মঘটে বাধা দিয়ে দ্বিচারিতা আরও প্রকট করবেন না!’’ বক্তা ছিলেন সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং লিবারেশনের অতনু চক্রবর্তী। ত্রিপুরায় বামেদের উপরে আক্রমণের পরে তৃণমূল তো বটেই, অন্য দলও যে সরাসরি নিন্দা করেনি, কংগ্রেসের নাম না করেই সে কথা বলেন নরেনবাবু। এই পরিস্থিতিতে জোটের অন্দরে কোন্দল উপনির্বাচনে তাঁদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Copyright © 2025 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news