আরজিকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধে বাম দলগুলি ক্রমাগত আন্দোলন করছে, এই আন্দোলনের অবসান ঘটানো, স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতির মূলে ঢোকার দাবি মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য প্রেসক্লাবে ছাত্র সংগঠন এসএফআই, যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই, মহিলা সংগঠন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা ঘোষ, দেবাঞ্জন দে-সহ নেতৃবৃন্দ। মিনাক্ষী বলেন, ‘‘প্রান্তিক অংশের মানুষ সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন। আমরা আবেদন করব, তাঁদের পরিষেবার বিষয়টি যাতে চিকিৎসকেরা ভেবে দেখেন।’’ ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদকের কথায়, ‘‘আন্দোলন জারি থাকুক। কিন্তু সেই সঙ্গে যাতে পরিষেবাটাও দেওয়া যায়, তা দেখার আবেদন করব। কি ভাবে দুটো সুরকে একসঙ্গে বাঁধবেন, সেটা চিকিৎসকেরা আমাদের থেকে অনেক ভাল জানেন।’’
আরও পড়ুন : আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করল CPIM
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ভয়াবহ ঘটনা গোটা দেশকে হতবাক করেছে। এখানে ক্ষমতাসীন দলের নির্দেশে পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন যে তারা দোষীদের কঠোর শাস্তি সহ মামলাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। মীনাক্ষী বলেন, আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। তিনি বলেন, এ ঘটনার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী সম্পূর্ণভাবে দায়ী। অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে সিন্ডিকেটের শাসন চলছে।
বুধবার প্রাক্-স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে বেহালা ম্যান্টনের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘চিকিৎসকদের আবেদন জানাচ্ছি, সাধারণ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে। তিন জন বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। চিকিৎসা দিতে আপনারা অঙ্গীকারবদ্ধ। পাঁচ দিন হয়ে গেল। পায়ে ধরে বলছি, তাতে যদি চরণযুগল ভাল থাকে। চিকিৎসা করুন। তার জন্য আপনারা নিযুক্ত। আন্দোলন করেছেন। কেউ আটকায়নি। এ বার কাজে নামুন, এটাই আবেদন। আমার সচিব আবেদন জানিয়েছেন। আজ আমি আবেদন করছি। সিনিয়র ডাক্তারেরা পরিষেবা দিচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ।’’
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন চিকিৎসকেরা। তা ছড়িয়ে পড়েছিল জেলায় জেলায়। তবে শুক্রবারের খবর, জেলাগুলিতে স্বাভাবিক পরিষেবা মোটের উপর চালু রয়েছে।