ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ বিধানসভা ভোটে BJP জিতেছিল ৭৭ টি আসন। তাদের মধ্যে ২ জন ইস্তফা দ্যায়। খাতায়-কলমে এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। মুকুল রায় যদি ইস্তফা দেন সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়াবে ৭৪। কিন্তু সোমবার রাজভবনে হাজির থাকলেন গেরুয়া শিবিরের ৫১ জন বিধায়ক। তার জেরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, বাকি ২৩ জন বিধায়ক কোথায় গেলেন? তাহলে কি তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে আছেন?
পূর্ব ঘোষিত সময় সূচি অনুযায়ী সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে আসেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিল বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। রাজভবনের বারান্দায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক হয়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। সবমিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন ৫১ জন বিজেপি বিধায়ক। তার আগে বিধানসভায় বৈঠকেও ২৩ জন বিধায়ক (মুকুলকে বাদ দিয়ে) অনুপস্থিত ছিলেন। তার জেরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এবার TMC এর খেলা শুরু ত্রিপুরায়, ভাঙতে পারে বিপ্লবে দেবের সরকার
সূত্রের খবর, বিশেষত বিজেপি ছেড়ে মুকুল তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ভাঙনের চোরাস্রোত বইছে। কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। কয়েকজন মুকুল-ঘনিষ্ঠও তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। মুকুলও চুপচাপ বসে নেই। তিনি আবার নাকি তৃণমূলে গিয়েই তার ঘনিষ্ঠ BJP বিধায়ক দের ফোন ঘোরাতে শুরু করে দিয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ২৩ জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি বিজেপির ঘরে আরও ভাঙন ধরতে চলেছে? মুকুলকে পাশে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ‘বিজেপি থেকে আরও লোক আসবে’ বলেছিলেন, এটা কি তারই ফল?
১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে বিধিনিষেধ, কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দিল সরকার?
তবে একাংশের আবার বক্তব্য, জেনে বুঝেই কম বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছে বিজেপি। তাতে স্পষ্ট হবে যে কতজন বিধায়ক আদতে তাঁদের সঙ্গে আছেন। সেই যুক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, বিজেপি যদি ‘দোদুল্যমান’ বিধায়কদের চিহ্নিত করারই চেষ্টা করে, তাহলে সেটা তো ঘরোয়া ভাবেই করতে পারত? খামোখা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পুরো বিষয়টি জনসমক্ষে আনতে যাবে কেন? তাই ২৩ জন বিধায়ক কোন কারণে উপস্থিত থাকলেন, সেই উত্তরের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।