ওয়েব ডেস্ক: ঐশী ঘোষের নামে শোকজ নোটিস ইস্যু করল JNU। ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে ক্যাম্পাসে একটি প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল JNU তে। সেই প্রতিবাদ আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে শোকজ চিঠিতে। ঐশীর পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে আরও এক SFI-এর ছাত্রও। চিঠি প্রসঙ্গে ঐশী জানিয়েছেন, ‘মহামারী পরিস্থিতিতে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও চিফ প্রকটরের অফিস ঠিক খোলা থাকছে। আর তাঁদের একটিমাত্র কাজ ছাত্র-ছাত্রীদের শাস্তি দেওয়া।
সূত্রের খবর, গত ১১ জুন ঐশীকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অধ্যাপক তথা চিফ প্রকটর রজনীশ কুমার মিশ্র এমনটাই অভিযোগ করেছেন, গত ৫ ডিসেম্বর বোর্ড অফ স্টাডিজের মিটিংয়ের সময় বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন ঐশী। চিঠিতে সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, তিনবছর পর এই শোকজের নোটিশ কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হোস্টেলের ফি কমানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস চত্বর আটকে ধরনা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন ঐশী ও ছাত্র সংসদের সদস্যরা। কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগে বলা হয়েছে আন্দোলনের নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। ২০২০ সালে মহামারী পরিস্থিতি থাকায় এখন সেই ঘটনার পর্যালোচনা চলছে বলেও জানিয়েছে JNU কর্তৃপক্ষ।
দু’মাসের মধ্যে আসতে পারে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট
শোকজ নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘটনা মারাত্মক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ঘেরাও, হিংসাত্মক ঘটনা, ধরনা জাতীয় কর্মসূচি পঠনপাঠনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ব্যাহত করেছে। এমনকি ঐশীর বিরুদ্ধে আগামী দিনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে শোকজ চিঠিতে।
ঐশীকে আগামী সাত দিনের সময় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২১ জুনের মধ্যে তাঁকে এই নোটিশের জবাব দিতে হবে। জবাব দিতে না পারলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
৩ টি ঘরোয়া গাছ যা ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে, যেনে নিন
এই প্রসঙ্গে ঐশী তার নিজের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, মহামারী পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। স্কলারশিপের টাকা আটকে, হস্টেলের ঘর বরাদ্দ হচ্ছে না। জলের সমস্যা চলছে লাগাতার। ক্যাম্পাসে ভ্যাক্সিনেশনের কোনও ব্যবস্থা এখনও হয়নি। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখন ছাত্র-ছাত্রীদের শাস্তি দেওয়া।