ওয়েব ডেস্ক: যদি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি বিরোধী কোনও জোট তৈরি হয়, তা হলে তার মুখ কে হতে পারেন জল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’। শুক্রবার জাগো বাংলায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যার শিরোনাম, ‘রাহুল গান্ধী পারেননি, মমতাই বিকল্প মুখ’। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বার্তা এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট। তবে সে জোটে রাহুল যে নেতা নন সে কথারও উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আমরা কখনওই বিজেপি বিরোধী বিকল্প বলছি না। কিন্তু রাহুল গান্ধী এখনও নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। দেশের বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা বিকল্প হিসাবে জননেত্রীর মুখ সামনে রেখেই গোটা দেশে প্রচার শুরু করব।’ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের কর্মীসভা থেকে এমনই বার্তা দিয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বিধায়ক তাপস রায়, সাংসদ শান্তনু সেনরা।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “উত্তর কলকাতার জেলা তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন ছিল। সেখানে লোকসভায় আমাদের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় খুব বুঝিয়েই বলেন, এটা একটা ব্যাখ্যা। এখানে কংগ্রেসকে অসম্মান করা বা রাহুল গান্ধীকে অসম্মান করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না কিংবা কংগ্রেসকে বাদ দিয়েও কোনও বিকল্পের কথা বলেননি। যেটা বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীকে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ হিসাবে মানুষ গ্রহণ করছেন না। তিনি এখনও প্রস্তুত নন। ২০১৪ সাল, ২০১৯ সাল বার বার সুযোগ পেয়েও তিনি এখনও সেই জায়গাটা প্রমাণ করতে পারেননি। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলে একটা আলাদা ছাপ তৈরি করেছেন। এই ফলাফলে গোটা দেশের নজর ছিল। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে দেশের বিজেপি নেতারা এসে তৃণমূলকে হারাবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের হারিয়ে দিয়েছে। সে জায়গাতেই সুদীপবাবুর ব্যাখ্যায়, যেহেতু রাহুল গান্ধী বিকল্প মুখ হিসাবে এখনও প্রস্তুত নন। সারা দেশের মানুষ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ধরনের একটা প্রচার হবে।”
বিশ্বসেরার তালিকায় বাংলার জি কর হাসপাতাল, পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারকে স্বীকৃতি দিল WHO
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “ভারতবর্ষের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, যখনই কোনও জোট তৈরি হয়েছে, সেটা ইউপিএ হোক বা এনডিএ! জোটের সঙ্গীরা যে কোনও সিদ্ধান্ত একসঙ্গে বসে গ্রহণ করে। জোটের নেতৃত্ব কে দেবে। এটা চিরকালই হয়ে আসছে। তাই মতামত অনেক কিছুই হতে পারে, তবে তা সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হিসাবে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না।”