ওয়েব ডেস্ক: এক অজানা জ্বরের আতঙ্কে রাজ্যের শিশুরা। এখনও পর্যন্ত ১৪ জেলায় জ্বরে আক্রান্ত কমপক্ষে দেড় হাজার শিশু। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। সূত্রের খবর, এখনও অবধি রাজ্যে জ্বরের বলি হয়েছে ১২ জন শিশু। প্রথম দিকে এই জ্বরের কারণ অজানা বলা হলেও, এখন জানা হচ্ছে সংক্রমণের পিছনে আরএস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও স্ক্রাব টাইফাসের ত্রিফলা কাজ করছে।
শিশুদের এই অজানা জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের হাতে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। করোনা আবহে দাপট বেড়েছে আরেক ভাইরাস রেসপিরেটরি সিনসাইটালের। যা এই মুহূর্তে আরএস ভাইরাস হিসাবেই মুখে মুখে ফিরছে। সরাসরি না হলেও করোনার একটা পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে এই আরএস ভাইরাসের দাপটের পিছনে।
প্রাণঘাতী জ্বরে কাবু বাংলা, এরই মধ্যে আশার আলো দেখাল হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আর এই আরএস ভি এগুলি কিন্তু প্রায় একই রকম উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়। যে কারণে করোনা ছড়িয়ে পড়ে, এই ভাইরাসও কিন্তু সেই সেই পথ ধরেই ছড়িয়ে পড়ে। এটা অনেকটা ইনফ্লুয়েজ্ঞার মতো। তিন থেকে পাঁচদিন একটা প্রকোপ থাকে। মারাত্মক রূপ নেয়। এই আরএস ভাইরাস নতুন নয়। তবে এ বছর জুন জুলাইয়ে সারা বিশ্বেই এর দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিতেও এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। গত বছরগুলির তুলনায় এই ভাইরাসের ক্ষমতাও আরও মারাত্মক হয়েছে।
রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে বিনা খরচে টেলি মেডিসিনে মাধ্যমে চিকিৎসার নতুন প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’
বাইরের দেশগুলিতে এই ভাইরাসের যে চেহারা, তার সঙ্গে বাংলার ভাইরাসের মিল খুঁজে পাচ্ছেন এ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কোথায় কোথায় মিল? প্রথমেই সময়ের অনেক আগেই এ রাজ্যেও আরএস ভাইরাসের আক্রমণ হচ্ছে। জাপান, আমেরিকাতে এই ভাইরাস বসন্তে বাড়ত, এখন জুন জুলাইয়ে হচ্ছে। বাংলাতেও শীতকালে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যেত, এখন সেটা অগাস্ট সেপ্টেম্বরে দেখা যাচ্ছে।