ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের হস্ত শিল্পের বাজার কে চাঙ্গা করতে এবার Amazon ও Flipkart এর সাথে গাঁটছড়া বাঁধেতে চলেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে রয়েছেন প্রায় এক কোটি মহিলা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তাঁদের তৈরি জিনিসপত্র বাজারে বিক্রির ব্যবস্থাও করে থাকে।
রাজ্য সরকার সমীক্ষা করে দেখেছে, বাংলার হস্তশিল্পের চাহিদা থাকলেও বিপণন ব্যবস্থা অতটা ভাল নয়। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর এই ধরনের পরিকল্পনা করা হয়। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এম ভি রাও জানান, “পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হস্তশিল্পের বাজার টানতে অনলাইন মার্কেটিংয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই জন্য Amazon, Flipkart-এর মতো প্রথম সারির শপিং অ্যাপের সঙ্গে কথা চলছে। খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে।”
প্রধান শত্রু বিজেপি হলেও, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাবে না CPIM, স্পষ্ট বার্তা ইয়েচুরি
জানা গিয়েছে, এই প্রথমসারির শপিং অ্যাপের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের কথাবার্তা হয়েছে। ফের একবার বৈঠক হবে। তার পর চূড়ান্ত হবে গাঁটছড়া। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বাংলার হস্তশিল্পের নানা সামগ্রী সম্পর্কে মানুষ ওয়াকিবহাল নয়। কারণ তার প্রচার নেই। এই শপিং অ্যাপের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলে সেটা সম্ভব হয়ে উঠবে। আবার জিনিস বিক্রি হলে শপিং অ্যাপের যেমন লাভ হবে তেমনি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত মহিলারাও উপকৃত হবে। জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বাংলার সামগ্রী।
যাত্রী ভাড়ার বাইরে আয় বাড়াতে স্মার্ট কার্ডে বাড়তি জোর দিতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে ঢাকুরিয়ায় পঞ্চায়েত দপ্তরের ‘সৃষ্টিশ্রী’ শপিংমল রয়েছে। ২০১৯ সালে এর পথ চলা শুরু হয়েছে। তিনতলা এই শপিংমলে ২৫টি দোকান রয়েছে। এখানে প্রতি জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টল রয়েছে। বিনামূল্যে তাদের এই স্টল দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই শপিংমলে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শনিবার থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এই ছাড় মিলবে। এই বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা শুধু হস্তশিল্পের বাজার তৈরি করছি না, যেসব মহিলা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত, ক্রেতাদের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করানো হচ্ছে। এখানে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে।’