Table of Contents
অনেক মহিলাই মাতৃত্বের স্বাদ পেতে চান। সঙ্গীকে নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছেন। এদিকে, পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন মানে অতিরিক্ত দায়িত্ব এবং ব্যয়। আপনি যদি এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন তবে আপনাকে অনেক দিক বিবেচনা করতে হবে। তাই আর্থিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। এ ছাড়া মায়ের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। তবেই শিশু সুস্থ থাকবে। তাই গর্ভধারণের আগে কিছু পরীক্ষা করানো জরুরি, যাতে নারীদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আজ এই নিবন্ধে সেই পরীক্ষার একটি তালিকা দেওয়া হল।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন
মা সুস্থ থাকলে সন্তানের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। তাই গর্ভধারণের আগে মায়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। তাই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। স্বাস্থ্যের অবস্থা বোঝার জন্য ডাক্তার রক্তচাপ, পেলভিক পরীক্ষা, প্যাপ টেস্ট সহ অনেক পরীক্ষা করবেন। তিনি বলবেন আপনার শরীর গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত কি না।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসীর(Tulsi) ভুমাকা, আপনার বর্ষার ডায়েটে এটি যোগ করার ৫ টি অনন্য উপায়
ভ্যাকসিনেশন আপডেট চেক করতে হবে
গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন? সুতরাং আপনি আপনার সমস্ত টিকা পেয়েছেন তাও পরীক্ষা করুন। আপনি মাম্পস, হাম এবং রুবেলার বিরুদ্ধে টিকা পেয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করুন। বিশেষ করে রুবেলা টিকা নেওয়া উচিত। কারণ গর্ভাবস্থায় রুবেলা খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি গর্ভপাতের ঝুঁকিও রয়েছে।
এছাড়াও STI পরীক্ষা করান
নেতিবাচক গর্ভাবস্থার ফলাফলগুলি STD যেমন গনোরিয়া, এইডস এবং সিফিলিসের সাথে যুক্ত। এর ফলে প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি, শিশুর কম ওজনের জন্ম হতে পারে। এমনকি এটি গর্ভে ভ্রূণের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া কিছু রোগও শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। অতএব, গর্ভাবস্থায় রোগ যাই হোক না কেন, একজন মহিলা বা পুরুষের পরীক্ষা করা উচিত।
আরও পড়ুন: দেশি ঘি না মাখন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী, আসুন যেনে নেওয়া যাক
জেনেটিক পরীক্ষা
গর্ভাবস্থায় মাকে অনেক ধরনের জেনেটিক পরীক্ষা করতে হয়। যাইহোক, এই জেনেটিক পরীক্ষা এমনকি গর্ভাবস্থার আগে প্রয়োজন। ফলস্বরূপ, আপনি বা আপনার সঙ্গী কোনো জেনেটিক রোগ সম্পর্কে সতর্ক হতে পারেন। গর্ভধারণ সম্পর্কে সব কিছু জেনেও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। জেনেটিক পরীক্ষায় সাধারণত সিস্টিক ফাইব্রোসিস এবং মেরুদণ্ডের পেশীর অ্যাট্রোফির পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষাও প্রয়োজন
শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে একজন মহিলা যদি বিষণ্ণ থাকেন তবে এটি তার সন্তানকেও প্রভাবিত করতে পারে। প্রিম্যাচিউর ডেলিভারির মতো কম ওজনের শিশুও হতে পারে। অতএব, প্রথমে মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ।