ওয়েব ডেস্ক: দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রীসভার প্রথম সম্প্রসারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমিত শাহ তার সহকারী হিসাবে তিন জন পতিমন্ত্রী কে বেছে নিয়েছেন। অজয় কুমার, নিত্যানন্দ রাই ও নিশীথ প্রামাণিককে নিজের ডেপুটি হিসেবে পেয়েছেন শাহ। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করার পাশাপাশি তিন ডেপুটিকে নিয়ে একসঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’-ও করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। সূত্রের খবর, গোটা দেশকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে মন্ত্রকের কাজ চালাতে চাইছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, প্রত্যেক প্রতি মন্ত্রীর হাতে থাকবে কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, তাদের কাজ হবে সেই সব জনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজের জোন ভিত্তিক রিপোর্ট সময়ের ব্যবধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠান। তাদের কাজের এক্তিয়ারের মধ্যে থাকবে সংশ্লিষ্ট জোনের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়, সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি এই সমস্ত বিষয় এই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
শেষ ইউপিএ-১ সরকারের আমলে একসঙ্গে তিন জন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দেখেছিল দেশ। সেই সময়ে শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়াল, শাকিল আহমেদ এবং ভি রাধিকা সেলভি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শিবরাজ পাটিলের সঙ্গে। সুচারুরূপে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজ চালানোর জন্য ১৭ বছর আগে যে ফর্মুলা প্রয়োগ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, এবার সেই ফর্মুলাতেই ভরসা রাখলেন মোদী-শাহ।
মোদীর নতুন মন্ত্রী সভার ৪২% মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই ঝুলছে ফৌজদারি মামলা : এডিআর রিপোর্ট
দেড় যুগের ব্যবধানে গৃহীত এই দুই ফর্মুলার মূলগত ফারাকটা ব্যবহারিক পর্যায়ে হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের দাবি। এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বর্ষীয়ান আমলা বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গুরুত্ব অপরিসীম৷ বহিঃশত্রুর আক্রমণ বা প্ররোচনা যত বাড়ছে, ততই চাপ বাড়ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপরে। এর প্রধান কারণ গোয়েন্দা ইনপুট যা আসে, তা প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেই আসে।
‘দুই সন্তান নিতি’ বিল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে সামনে বিজেপির কঠিন চ্যালেঞ্জ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে না পারলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে বিজেপির অন্দরমহলেও। এই পরিস্থিতি তে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী শিবির – যুযুধান দুই শিবিরের ক্ষমতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন স্ট্র্যাটেজিক বিন্যাস কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল৷